চৈত্রমাসে বারদোষে বৎসরের ফল
মধুমাসের প্রথম দিবসে হয় যে যে বার।
রবি চোষে, মঙ্গল বর্ষে, দুর্ভিক্ষ হয় বুধবার।
সোম-শুক্র গুরুবার, পৃথিবী না সহে শস্যের ভার।
বাংলা বর্ষপঞ্জিকার হিসেব অনুযায়ী, আজ রোববার (১৫ মার্চ) বছরের শেষ মাস অর্থাৎ চৈত্রের প্রথম দিন। দিনটি নিয়ে বহু বছর আগে জ্যোতির্বিদ্যায় পারদর্শী বিদুষী নারী খনা বলেছিলেন উপরের চারটি লাইন।
তার কথা মতে- প্রথম চৈত্র রোববার হলে খরা, মঙ্গলবার হলে বর্ষা, বুধবার হলে দুর্ভিক্ষ হবে। আর প্রথম দিনটি সোম বা শুক্রবার হলে সেই বছর প্রচুর শস্য ফলবে দেশে। সেই পণ্ডিতের কথা মতে, এবার হতে পারে খরা।
চৈত্রের প্রথম দিনে আম গাছ ভরে আছে মুকুলে মুকুলে। গাছে গাছে ফুল ফুটার এক মহা আয়োজন। চৈত্রের প্রথম ধাপে গাছে-বাগানে-বনে নানান রঙের এক মহা উৎসবের আয়োজন লেগেই থাকে। গাছের নতুন পাতায় রঙের আর আলোর নাচন যেন বাঙালির মনেও দোলে নানান দোলা।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার দুটি লাইন- ‘চৈত্র আমার রোদে পোড়া, শুকনো যখন নদী,
বুনো ফলের ঝোপের তলায় ছায়া বিছায় যদি’
থেকে বুঝতে পারা যায়- চৈত্র মানে রোদে পোড়া, থৈ থৈ পানির নদীগুলি শুকিয়ে গিয়ে শীর্ণ রূপ ধারণ করা। মাটিতে, গাছে গাছে শুষ্কতা তবুও কবির বর্ণনার মতো এ চৈত্রে বুনো ফলের ঝোপের তলায় আহা কী শীতল ছায়ার পরশ।
এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
এ অবস্থায় রোববার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং কুমিল্লা অঞ্চলসহ খুলনা, ঢাকা এবং সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও জানিয়েছে যে, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঢাকায় পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার। আগামী ৪৮ ঘণ্টা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে। আর বর্ধিত পাঁচ দিনে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। (আবহাওয়া অধিদপ্তর)