বিশ্বকাপের ৮ম রাউন্ডের খেলা শেষ হয়েছে গতকাল বুধবার। লিগপর্বে বাকি আর মাত্র ১টি করে ম্যাচ। টুর্নামেন্টের ১০ দলের মধ্যে ৭ দলেরই ভাগ্য ঝুলে আছে। সেমিফাইনালের জন্য অপেক্ষায় আছে তিন দল। আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জায়গা নিশ্চিতের জন্য লড়াই করছে চার দল।
এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নবম রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হচ্ছে শ্রীলঙ্কা এবং নিউজিল্যান্ড। দুই দলের জন্য এই ম্যাচে সমীকরণ দুই রকম। নিউজিল্যান্ড জিতলে সেমিফাইনাল অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে। আর শ্রীলঙ্কা জিতলে তারা এগিয়ে যাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দৌড়ে। কিন্তু শুধু এখানেই থামছে না এই ম্যাচের মাহাত্ম্য, বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের ভাগ্যটাও ঝুলে আছে এই ম্যাচের উপরে।
ব্যাঙ্গালোরের এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের এই ম্যাচে যদি শ্রীলঙ্কা জেতে তবে তাতে বড় রকমের সুবিধা পাবে পাকিস্তান। ১১ তারিখের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ন্যূনতম ব্যবধানের জয়ও তাদের নিয়ে যাবে সেমিফাইনালে। কারণ সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের পয়েন্ট হবে ১০। আর নিউজিল্যান্ড আটকে থাকবে ৮ পয়েন্টে। আর রানরেটে পিছিয়ে থাকা আফগানিস্তান পাকিস্তানকে টপকে রানরেটের ব্যবধানে সেমিফাইনালে যাবে, এটা বেশ দূরহ ব্যাপার। তবে পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ড দুই পক্ষ হারলে এবং নিজেদের ম্যাচ জিতলে আফগানিস্তানকে সেখানে দেখা যেতে পারে।
তবে শ্রীলঙ্কার জয়ে পাকিস্তানের যেখানে সুবিধা হবে সেখানে বিপাকে পড়বে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে জিতে এরই মধ্যে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলেছে ইংল্যান্ড। নিজেদের শেষ ম্যাচে সাকিবরা যদি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় না পায় এবং আজকের ম্যাচে শ্রীলঙ্কা যদি জেতে তাহলে পয়েন্ট টেবিলে সেরা আটে থাকা নিয়ে বড় রকমের সমস্যায় পড়তে হবে বাংলাদেশকে।
আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপে মোট ১১ ম্যাচে দেখা হয়েছে শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের। এতে ৬ ম্যাচ জিতেছে লঙ্কানরা। কিউইদের জয় ৫ ম্যাচে। ওয়ানডে ফরম্যাটে ১০১ বার দেখা হয়েছে দুই দলের। এতে ৫১ জয় নিউজিল্যান্ডের। শ্রীলঙ্কা জিতেছে ৪১ বার। আট ম্যাচের ফল হয়নি। একটি ড্র। নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ২৭টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলেছে দুই দল। এতে ১৫ জয় নিউজিল্যান্ডের। ১২ ম্যাচে জয় শ্রীলঙ্কা।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম