একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবেন কিনা তা আজ শনিবার নির্ধারণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ নির্বাচন ভবনে আপিল শুনানির মধ্য দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করবে ইসি। কারাগারে থাকায় আপিল আবেদনের শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন না সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তবে তাঁর আইনজীবীরা শুনানিতে অংশ নিবেন। আইনজীবীরা আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ মনোভাব দেখালে প্রার্থিতা ফিরে পাবেন খালেদা জিয়া। বিএনপির চেয়ারপারসনের পক্ষে মনোনয়নপত্র কেনার মধ্য দিয়ে বিএনপির মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করে। খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে ফেনী-১ এবং বগুড়া-৬ ও ৭ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা হয়। তবে তিনি দণ্ডিত হওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তারা তার মনোনয়নপত্র বাতিল বলে ঘোষণা করেন। গত ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তাঁর পক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল আবেদন করেন। আজ শনিবার তাঁর আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করার কথা। দুপুরের দিকে খালেদা জিয়ার শুনানি হতে পারে। সম্প্রতি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা নিয়ে কথা নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানমের সঙ্গে। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তার বাতিল করলে তিনি ইসিতে আপিল করতে পারবেন। ইসিতে তাঁর শুনানি হবে। ইসির শুনানিতেও যদি তিনি অবৈধ বলে ঘোষিত হন, তবে তিনি চাইলে উচ্চ আদলতে আপিল করতে পারবেন। যদি উচ্চ আদালতও রায় দেন যে, তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তখন তিনি আপিল বিভাগের আবেদন করতে পারবেন।’ একই বিষয়ে কথা হয় নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘তিনি প্রার্থিতা ফিরে পাবেন কি পাবেন না তা শুনানিতে সব কমিশনার এক সঙ্গে বসে ঠিক করবেন। যদি না পান এবং তিনি যদি মনে করেন উচ্চ আদালতের আশ্রয় নিবেন সেটা উনি করতে পারেন।’