হাঁসি প্রতিটি মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যদি সবসময় হাঁসতে থাকেন তাহলে অনেক মারাত্মক রোগ থেকে বাঁচতে পারবেন। কিন্তু আজকের এই চরম ব্যস্ত জীবনে আমরা নিজেদেরকে এতটাই ব্যস্ত করে ফেলেছি যে না নিজে হাঁসার সময় পাই না অন্যকে হাঁসাতে পারি।
এমন পরিস্থিতিতে, আপনাকে-অন্যকে-সবাইকে হাঁসাতে চলুন নিয়ে ফেলি আজকের হাঁসির ডোজঃ
ডোজ নম্বর ১ঃ এক বিখ্যাত কার্ডিওলজিস্ট মারা গেছে, তার সম্মানে তার কবরটা খোঁড়া হলো অনেকটা হার্টের মতো করে। কবরে কফিন নামানো হচ্ছে, এ সময় পাশ থেকে এক লোক হেসে উঠলো।
পাবলিকঃ কী ব্যাপার, আপনি হাসলেন যে?
জনৈক লোকঃ না, আমিও একজন ডাক্তার। আমার কবরটা কেমন হবে তা ভেবেই হাসছি।
পাবলিকঃ আপনি কীসের ডাক্তার?
জনৈক লোকঃ আমি একজন গাইনোকলোজিস্ট!!!
ডোজ নম্বর ২ঃ পাভেল জীবনের প্রথম গ্রাম থেকে শহরে এসেছে। হোটেলবয় তাকে ঘর দেখানোর জন্য নিয়ে যাওয়ার পর ছোট্ট একটা ঘরে ঢুকতেই দরজা বন্ধ হয়ে গেল। পাভেল দেখলো সেখানে আরও একজন দাঁড়িয়ে আছে। তাকে দেখতেই-
পাভেলঃ ‘দেখুন তো, আমি গ্রাম থেকে এসেছি। ভাড়ার টাকাও সব দিয়ে দিয়েছি। কিন্তু এই ব্যাটারা কত ছোট্ট একটা ঘর আমাকে দিয়েছে। থাকার কথা ছিল আমার একার। কিন্তু এখন দেখছি, ভাই আপনিও আমার ঘরে। তারপর উপরে আবার বিছানা নেই, নেই বাতাস ঢোকার ব্যবস্থা। ব্যাটারা কেমন বাটপার বুঝুন।’
অন্য লোকটাঃ ‘আরে ভাই, এটা তো আপনার ঘর নয়। এটা তো লিফট।’
ডোজ নম্বর ৩ঃ অফিসের বস প্রচণ্ড রেগে গিয়েছেন নতুন কর্মচারীর উপর। প্রচন্ড রাগ করলেন তিনি। ক্ষেপে গেলেন একদম।রাগ করে বললেন-
বসঃ ‘আমাকে আপনি কী ভেবেছেন, আমি কি গাধা?’
কর্মচারীঃ বস, সেটা আমি জানব কী করে! আমি তো নতুন এসেছি।
ডোজ নম্বর ৪ঃ নেতা এবং দলের কর্মীর মধ্যে কথোপকথন হচ্ছে-
কর্মীঃ বিশ্বাসঘাতক কাকে বলে স্যার?
নেতাঃ জান না? আমাদের দল ছেড়ে যারা অন্য দলে যোগ দেয়, তারা বিশ্বাসঘাতক।
কর্মীঃ আর যারা অন্য দল ছেড়ে দিয়ে আমাদের দলে যোগ দেয়?
নেতাঃ তারা দেশপ্রেমিক।
ডোজ নম্বর ৫ঃ শিক্ষক আর ছাত্রদের মধ্যে কথা হচ্ছে-
শিক্ষকঃ একটি ট্রেন ঘণ্টায় ৭০ মাইল যায়, তাহলে আমার বয়স কত?
কাশেমঃ এটা কোনো প্রশ্ন হলো নাকি? স্যার, উত্তর খুবই সহজ।
শিক্ষকঃ তাহলে বল তো দেখি?
কাশেমঃ আপনার বয়স চল্লিশ।
শিক্ষকঃ হ্যাঁ, কী করে বুঝলি?
কাশেমঃ আমাদের পাড়ায় একজন আধা পাগল আছে, তার বয়স বিশ। আর আপনি পুরা পাগল, তাই আপনার বয়স চল্লিশ।
ডোজ নম্বর ৬ঃ পাপন আর ডলির সন্তান হয়েছে। ফুটফুটে বাচ্চা। আস্তে আস্তে বড় হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাঁর একটাই দোষ। সে কোনো কথা বলে না। এ নিয়ে তারা খুব চিন্তিত। বারো বছর পর খাওয়ার টেবিলে-
ছেলেঃ আমাকে একটু চিনি দাও।
ডলিঃ কী ব্যাপার, তুমি এতোদিন কোনো কথা বলোনি কেন?
ছেলেঃ এতোদিন পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। আজ চায়ে চিনি কম হয়েছে।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি