তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন- আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যে চা-শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনের সুখবর দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশা করা হচ্ছে চা শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী একটা কিছু বলবেন। মন্ত্রী বুধবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সভায় যোগ দেন। সভা শেষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জুড়ী উপজেলা কার্যলয়ের যাওয়ার পথে, জুড়ী চৌমোহনায় চা শ্রমিক আন্দোলনে বক্তব্য দেন পরিবেশ মন্ত্রী।
এ সময় শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘চা শ্রমিক সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিকল্পনা নিয়েছেন। এজন্য আপনাদের ছেলেমেয়েরা ডাক্তার হয়েছে, প্রফেসর হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছে। পুলিশের কর্মকর্তা হয়েছে। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার সুযোগ পাইনি। এই গৌরব আপনাদের। আপনাদের অনেক সন্তান চা শ্রমিক নয়, দেশ পরিচালনা করছে। বৈষম্য দূর করতে প্রধানমন্ত্রী পদক্ষেপ নিয়েছেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার চা বাগানের অনেক শ্রমিককে ঘর তৈরি করে দিয়েছে। এছাড়াও বাগানের শ্রমিকদের তালিকা করে প্রতিবছর ৫ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে, যা অন্য কোন সরকার দেয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা চা-শ্রমিকদের কল্যাণে সম্ভাব্য সবকিছু করবে।’
পরিবেশ মন্ত্রী আন্দোনলনরত চা শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন- ‘আপনাদের মজুরীর দাবি করেছেন। আপনার বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখে একটা শুনতে চান। আমি এইমাত্র গাড়িতে বসে প্রধানমন্ত্রীর সচিবের সাথে কথা বলে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যে একটা কিছু আপনাদের বলবেন। আপনাদের সমস্যার সমাধান হবে।’
চা শ্রমিকদের আন্দোলন থেকে সরে যেতে অনুরোধ করে বলেন,‘আপনারা আর কষ্ট করবেন না। আপনারা আমার মায়ের সমান, ভাইয়ের সমান, বোনের সমান, সন্তানের সমান। আপনারা ভোট আসলে পাগল হয়ে যান নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য। আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনারা দয়া করে আর কষ্ট করবেন না। দুই-তিনটা দিন অপেক্ষা করেন। আপনারা প্রধানমন্ত্রীর মুখে আপনাদের সমস্যার সমাধান শুনতে পাবেন। ইনশাআল্লাহ প্রধানমন্ত্রী আপনাদের বিরুদ্ধে কিছু বলবেন না। আপনারা রাস্তা থেকে ঘরে চলে যান।’
পরিবেশমন্ত্রীর আশ্বাসে চা শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেন। এসময় জুড়ীর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোনিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যেদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম, এ, মোঈদ ফারুক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রঞ্জিতা শর্মা এবং ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।