মামুন, বিমল (ছদ্মনাম), প্রকৃত নাম সহেল চন্দ্র কাঁহার), হ্নদয় সাদাসিধে, নিরীহ গোছের ছেলে। অপুষ্টিজনিত কারনে শরীর হাড় লিকলিকে। তারা এপ্রিল মাসের প্রথমে বিশ্ব কলোনী এন ব্লকে এসে রিক্সা গ্যারেজের মালিক শফিকুলকে বলে তারা পেশায় রাজমিস্ত্রী, কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারনে কাজ নাই বিধায় ভাড়ায় রিকসা চালানোর অনুরোধ করলে শফিকুল তাদের তিনজনকে তিনটি রিকসা প্রদান করেন। দিনে তারা রিকসা চালান রাত্রি বেলায় কোন সময় শফিকুলের গ্যারেজে থাকেন আবার কখনো গ্যরেজের পার্শ্বে একরুমের একটি ভাড়া কক্ষে থাকেন। স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি নিরাপত্তার স্বার্থে মাসিক ভাড়ার বিনিময়ে শফিকুল ইসলামের গ্যারেজে মটর সাইকেল জমা রাখেন। সুযোগ বুঝে উপরেোক্ত চোরচক্র গত ৩০ শে এপ্রিল রাত্রি ২;৩০ ঘটিকার সময় গ্যারেজে রাখা দুটি মটর সাইকেল চুরি করে নিযে হাওয়া হয়ে যান।
চুরির ঘটনায় আকবরশাহ থানায় মামলা রুজু হলে একটি চৌকস টিম ঘটন করা হয় এবং তারা মোটর সাইকেল উদ্বারের জন্য তৎপরতা শুরু করেন।গোপন সূত্রের মাধ্যমে নিম্চিত হয়ে প্রথমে বিমলকে নোয়াখালীর চর জব্বার থেকে গ্রেফতার করা হয়, তার দেয়া তথ্য মোতাবেক কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্চ থানার নাথের পেটুয়া নামক স্থান হতে রাকিব এবং আবদুল হককে চোরাই দুটি মোটর সাইকেল সহ আটক করে আজ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। রাকিব একজন মোটর সাইকেল মেকানিক, আবদুল তার বন্ধু। পেশাদার চোর, ছিনতাই কারী মামুন এর বাড়ী মাইজদী নোয়াখালী, তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় অনেকগুলি ছিনতাই এবং দ্রূতবিচারে আ্ইনের মামলা বিচারীধীন থাকায় সে নিজ এলাকা হতে পালিয়ে চট্টগ্রাম শহরে আসে এবং রিকসা চালকের ছদ্মবেশে চুরি ছিনতাই করে। তারা চোরাইকৃত মোটর সাইকেল তাদের বন্ধু রাকিব ও আবদুলের মাধ্যমে বিক্রয় করে। চোর হৃদয় সম্পর্কে মামুনের শ্যালক, তার বাড়ী রামগতি থানায়। বর্তমানে মামুন ও হৃদয় পলাতক।
ছদ্মবেশী রিক্সা চালক, অটো চালক হতে সাবধান। তাদের নিকট বাসা ভাড়া দেওয়া বা রিকসা, টেকসী ভাড়া দেওয়ার আগে ভালোভাবে যাচাই বাচাই করে দেওয়ার জন্য সবা্ইকে অনুরোধ করা হল।