কাজ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর সবচে বড় সাফল্যের খবরটি আসতে যাচ্ছে আর ২/৩ দিনের মধ্যে। সেতুর সবচে চ্যালেঞ্জিং কাজ পাইল ড্রাইভিং কাজ শতভাগ শেষ হবে এ সময়ের মধ্যে। ফলে পদ্মা সেতুর নকশা জটিলতার কার্যকর সমাধান মেলার পাশাপাশি কাজের গতিতে দৃশ্যমান পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন প্রকল্প পরিচালক।
তবে ২০১৫ সালে পাইলিংয়ের কাজ শুরুর পর সবচে বড় ধাক্কাটি আসে নকশা জটিলতার সৃষ্টি হলে। ২২টি পিলারে নদীর তলদেশে সৃষ্ট জটিলতায় কাজ যায় পিছিয়ে। দেশি বিদেশি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মিলে দেড় বছরের বেশি সময় নিয়ে এ সমস্যার সমাধান হয়েছে মাস ছ’য়েক আগে। এবার সাফল্যের চূড়ান্ত সুফল পাওয়ার সময়।
নদীতে ৪০ টি পিলারে ২৬২ আর ২ পাড়ের ২টি পিলারে ৩২টি মিলে সেতুর মোট পাইল সংখ্যা ২৯৪টি। এর মধ্যে ২৯৩টির ড্রাইভিংয়ের কাজ শেষ। ২৬ নম্বর পিলারে শেষ পাইলটিও অর্ধেকের বেশি প্রবেশ করানো হয়েছে নদীর তলদেশে। বাকীটুকুও শেষ হয়ে আসছে দ্রুততম সময়ে।
সেতুটির প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ওয়েল্ডিংয়ের কাজ শেষ হলে আগামী ১৪-১৫ দিনের মধ্যে পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়ে যাবে।
কাজ এগিয়ে চলছে নতুন নতুন প্রতিবন্ধকতা ডিঙ্গিয়েই। এর মধ্যে প্রাকৃতিক আর কারিগরি নানা জটিলতা তো আছেই। তার সাথে পরিকল্পিত গুজব তৈরি করে পদ্মা সেতুর কাজ বিতর্কিত করার চেষ্টাকে দুঃখজনক বলে মনে করেন প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম।
নকশা জটিলতা দেখা দেয়ার পর চরম অনিশ্চয়তা ছিল পাইল ড্রাইভিংয়ের কাজ শেষ হওয়া নিয়ে। তবে অনিশ্চয়তা কাটিয়ে পাইল ড্রাইভিংয়ের কাজ শেষ হওয়ার মধ্য দিয়ে সাফল্যের দুয়ার উন্মোচিত হতে যাচ্ছে। পুরো নদীজুড়ে বিয়াল্লিশটি পিলার দৃশ্যমান হওয়ার দিন আর খুব বেশি দূরে নয়। এভাবেই একটু একটু করে এগিয়ে চলছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কাজ।