ডিম কমবেশি সবারই পছন্দের তালিকায় রয়েছে। তবে একেকজনের ডিম খাওয়ার পদ্ধতি একেক রকম। অনেকে কাঁচা ডিমও খেয়ে থাকেন। কোন পদ্ধতিতে ডিম খাওয়া উপকারী আর কোনটিতে ক্ষতিকর এ বিষয়ে আজকে আমরা জানব।
পুষ্টি বিজ্ঞানীরা ডিমের ওপর নিয়মিত গবেষণা করে চলেছেন। আর সেই সব গবেষণায় উঠে আসছে নিত্য নতুন তথ্য।
অনেকে মনে করে থাকেন হাফ বয়েল ডিমেই পুষ্টি। এটি একদমই ঠিক নয়। অর্ধসেদ্ধ ডিমে সালমোনেল্লা নামক একটি ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়া কিন্তু বমি, ডায়েরিয়ার মতো একাধিক সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই হাফ বয়েল ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো। ফুল বয়েল ডিম খাওয়াই স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
অনেকে আবার কাঁচা ডিম খান। তাদের ধারণা ডিম কাঁচা খেলে বেশি শক্তি! তবে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। কাঁচা ডিমে থাকে এভিডিন নামক একটি প্রোটিন। এই প্রোটিন দেহে বায়োটিনকে কাজ করতে বাধা দেয়। এতে চুল ও ত্বকের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। তাই যতটা সম্ভব কাঁচা ডিম এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
ডিম ভাজা ও পোচ করেও খেতে পারেন। এক্ষেত্রে কম তেলে ডিম ভেজে নিতে হবে। এমনকি এই উপায়ে পোচ বানাতে পারেন।
অনেকেই ডিমের কুসুমের ফ্যাট নিয়ে বেশি চিন্তিত থাকেন। এতে কোনো সমস্যা নয় বরং শরীরে ফ্যাটের চাহিদা পূর্ণ হয়। তবে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা খুব বেশি থাকলে ডিমের কুসুম না খাওয়াটাই উত্তম। এ সমস্যা না থাকলে যে কেউ ডিমের এই অংশ নির্দ্বিধায় খেতে পারেন।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন