শাকিলার স্বামী কোহিনুর গাজী জানান যে, দীর্ঘ নয় বছর একসঙ্গে ঘর করছে। আমাদের একটি ছেলেও আছে তার বয়স সাত বছর। আজ আমাকে ছেড়ে আমার স্ত্রী চলে যাচ্ছে আমার পাশের বাড়ির ফরিদ আহমেদ এর ছেলে রাতুল গাজী (১৮) এর সঙ্গে।
কোহিনুর আরো বলেন যে, “শাকিলা আমার সাথে প্রেম করে বিয়ে করেছিল। আমাদের সংসার ঠিক মত চলছিলো পাশের বাড়ির রাতুলে সঙ্গে প্রেমে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে আমার স্ত্রী শাকিলা বেগম”।
আমি যখন বাড়িতে থাকতাম না তখন প্রায় সময় আমার বাড়ি আসা-যাওয়া করতো রাতুল। আমি অনেক বার রাতুল’কে বুঝিয়েছি “দেখ তুই আমার সংসার টা নষ্ট করিস না”। এমন কি আমাদের গ্রামে মেম্বার আ. স. ম. আব্দুল রব’কে এই বিষয়ে বলেছি।
কোহিনুর আরও বলেন, শনিবার ৩রা আগস্ট রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আমার ঘরের পিছনে ঘোরা-ফেরা করছে। আমি কথা বলতে সে দৌড়ায় যাই আমিও তার পিছনে যাই। তার সাথে কথা বলি সে বলে আমার স্ত্রী’কে বিয়ে করবে। আমি তখন গ্রামবাসি’কে ডাকি সবার উপস্থিতিতে আমার স্ত্রী শাকিলা বেগম আমাকে খোলা তালাক দেয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আ. স. ম. আব্দুর বর জানান যে, ঘটনাস্থালে আমি উপস্থিত ছিলাম। সবার উপস্থিতিতে আমি কোহিনুর গাজীর স্ত্রী শাকিলার কাছে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে, “তুমি কি কোহিনুরের ঘর করবে নাকি রাতুলের?” জবাবে শাকিলা জানায় যে, “আমি রাতুলের ঘর করবো”। শাকিলার নিজের ইচ্ছাতেই এই তালাক হয়েছে।