ভারতের বর্তমান শাসকদল বিজেপির রোষানলে পড়েছেন বলিউডের সুপারস্টার আমির খান। তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্ট বিজেপি নেতা সুব্রহ্ম্যনাম স্বামী। বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা শ্রীরাজ নায়ার আমির খানকে দেশদ্রোহী তকমা দিয়েছেন।
সম্প্রতি আমির খান তুরস্ক গিয়েছিলেন তাঁর ছবি লাল সিং চাড্ডার শুটিং এর লোকেশন ঠিক করতে। অক্টোবরে ছবিটির শুটিং হবে তুরস্কে। এই সফরে গিয়ে ইস্তাম্বুলের প্রাসাদে তিনি দেখা করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান এবং ফার্স্ট লেডি এমিনে এরদোগানের সঙ্গে।
এরপরই এমিনে একটি টুইট করেন, ভারতের সুপারস্টার আমির খানের সঙ্গে দেখা হল ইস্তাম্বুলে। শুনে ভালো লাগলো তিনি তুরস্কে তাঁর ছবি লাল সিং চাড্ডার শুটিং করবেন আগামী অক্টোবরে।
তুরস্ক যেহেতু ভারতের মিত্ররাষ্ট্র নয় তাই এরপরই দেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
দু’হাজার চোদ্দ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর এরদোগান পাকিস্তানকে তুরস্কের মিত্র দেশ বলে অভিহিত করেছিলেন। দু’হাজার সতেরো সালে ভারত সফরে আসার আগে এরদোগান কাশ্মীর সমস্যায় মধ্যস্থতা করার আহ্বান জানান। ভারত সেই সময় প্রতিবাদ জানিয়ে বলে দু’ দেশের সমস্যায় তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় ভারত বিশ্বাসী নয়।
এরপরও এরদোগান কাশ্মীরে তিনশো সত্তর ধারা বিলোপের কঠোর সমালোচনা করেন।
দিল্লিতে বিধানসভা ভোট এর আগে সংঘর্ষ নিয়ে বলেন, ভারতে গণহত্যার মতো ঘটনাও ঘটে। এমনকি রাষ্ট্রপুঞ্জেও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ভারত বিরোধিতা করেন। এরদোগান এর আতিথ্য নিয়ে আমির খান দেশদ্রোহীতা করেছেন বলেই বিজেপি আওয়াজ তুলেছে।
এখানেই শেষ নয় ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহুয়ের ভারত সফরের সময় তাঁর সঙ্গে দেখা করার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন আমির, সালমান ও শাহরুখ খান। আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন, অভিষেক বচ্চন, ঐশর্য রাই বচ্চন, করণ জোহার, বিবেক ওবেরয়রা।
এদিকে, নেতানিয়াহু ইহুদি বলেই এই তারকারা তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি বলে বিজেপি অভিযোগ জানায়। তিন খানের সম্পত্তি নিয়ে তদন্তের দাবিতে তারা আবার সরব হয়েছে।