ঈশাত জামান মুন্না
লালমমিরহাট প্রতিনিধিঃ দেশব্যাপী মাদকবিরোধী জিরোটলারেন্স নীতির আওতায় লালমমিরহাট জেলা পুলিশ সুপার এর বিশেষ নির্দেশে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানের অংশ হিসাবে পন্চান্ন (৫৫) বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক চোরাচালান এর সাথে সংপৃক্ত এক যুবককে গ্রেফতার করেছে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ,কিন্তু মুলহোতা মাদক সম্রাট মোফা পালাতে সক্ষম হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন এর নেতৃত্বে এসআই মোঃ তুষার চন্দ্র রায় ও সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান পরিচালনা কালে চন্দ্রপুর ইউনিয়নের বোতলা মৌজা হইতে সন্দেহভাজন ভাবে সাফায়েত ইসলাম (১৯),কে আটক করা হয় এবং পরবর্তীতে তার নিকট হতে পয়চল্লিশ (৪৫) বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয় এবং তার সাথে থাকা মাদক সম্রাট মোফা সাফায়েত এর শরীর তল্লাশীর সুযোগনিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষমহন। গ্রেফতারকৃত সাফায়েত চন্দপুর ইউনিয়ন এর নওদাবাস গ্রামের মোঃ ইয়াছিন এর পুত্র বলে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, পলাতক মাদক ব্যবসায়ী মোফাজ্জল হোসেন ওরফে মোফা একই ইউনিয়ন এর খামারভাতী গ্রামের মোস্তফার পুত্র বলে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে।
থানা পুলিশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা বলেন কুখ্যাত মাদক সম্রাট মোফা প্রায় ৫-৬ টি মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী,মোফা খুব চালাক চতুর হওয়ায় ২০১৮ সালে মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য জেলা পুলিশ সুপার এর নিকট আত্নসমর্পন করে, কিন্তু আত্নসমর্পন এর কিছুদিন পর থেকে পুনঃ রায় মাদকের ব্যবসা শুরু করে, যেহেতু সে আত্নসমর্পন করেছে সেহেতু পুলিশের নজর এড়িয়ে চালাতে থাকে মাদকের রমরমা কারবার,অতঃপর কালীগঞ্জ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২০১৯ সালের শুরুর দিকে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ডাইল মহু পুলিশের গুলিতে আহতাবস্থায় গ্রেফতার হন, মহুর দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে তাকে সন্গে নিয়ে মাদক উদ্ধার অভিযানে যান তৎকালিন কালীগঞ্জ থানার উপ- পরিদর্শক ( বর্তমানে পুলিশ পরিদর্শক পদে পদন্নোতি প্রাপ্ত) বাদল কুমার মন্ডল ও তার টিম, মহুকে নিয়ে লতাবর বোতলা এলাকায় প্রবেশ করলে মহুর মাদক সিন্ডিকেট এর লোকজন পুলিশের উপর দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে মহুকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়,পুলিশ আত্নরক্ষার্থে গুলি ছুড়লে মহু গুলিবিদ্ধ হয় এবং তার সিন্ডিকেট এর সদস্য লতাবর এর মাদক সম্রাট মনির,মজিবর,মোফাজ্জল ওরফে মোফা এবং মশিয়ার পালিয়ে যায়, পরবর্তীতে পলাতক চার জনের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়, মোফা এটতাই বুদ্ধিমান যে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে তার মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে, সে ইতিমধ্যে সাতুরদিঘি ক্যাম্প এর নায়েক আনোয়ার এর বিরুদ্ধে ঘুষনেওয়ার অভিযোগ দিয়ে নায়েক আনোয়ার কে চাকরিচ্যুত করতেও সক্ষম হন, এলাকাবাসীর ভাস্য থানা পুলিশের বেশকিছু অফিসার এর সন্গে মোফার স্বু- সম্পর্ক রয়েছে মুলত সেই সম্পর্কের কারনেই মোফা এখনো গ্রেফতার হয়নি বা তার মাদকের কারবার ও বন্ধ রাখেনি। খামারভাতী ওয়ার্ডের মেম্বার এর ভাতিজা মোঃ নুর হক বলেন, এলাকায় মোফার মাদকের কারবার চালানোর জন্য মোফার নিজস্ব একটি বাহিনী রয়েছে মোফা বাহিনী হচ্ছে তার নাম, উক্ত বাহিনীর সদস্যদের নাম জানতে চাইলে তিনি বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
ঘটনার সত্যতা প্রকাশ করে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন পলাতক আসামী মোফাকে ধরার প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে। খুব শ্রীঘ্রই মোফাকে গ্রেফতার করা হবে।