ডিবিএন ডেস্কঃ অবিশ্বাস্য হলেও দৈনিক আধা লিটার দুধ দিচ্ছে এক পাঁঠা। এমনি খবর জানা গেছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের চকচকা গ্রামে। পাঁঠাটিকে দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছে মানুষ। বিষয়টি অলৌকিক মনে করছেন স্থানীয় লোকজনেরা। গাইবান্ধা প্রাণিসম্পদ কর্তৃপক্ষ এ অদ্ভুত বিষয়টিকে তাদের কাছে একেবারে নতুন বলে জানিয়েছেন।
সরেজমিন সুত্রে জানা গেছে, গরু ব্যবসায়ী মোনারুলের ক্রয়কৃত ছাগল পাঠাটি দেখতে ভিড় করছে মানুষ। উপস্থিত জনতার সামনে মালিক পাঁঠার বাট থেকে প্রায় আধা লিটার দুধ দোহন করে দেখিয়েছেন। স্থানীয়রাও প্রথমে বিষয়টি বিশ্বাস করতে চাননি। পরে নিজ চোখে দেখার পর বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছেন। পাঁঠাটির দুধ পান করেছেন এমন একজন জানান, দেখতে গাভির দুধের মতো। খেতেও সুস্বাদু।
অদ্ভুত এই পাঁঠাটির মালিক মোনারুল মিয়া একজন গরু ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, ব্যবসার কাজে একবার চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে পথের ধারে এক বৃদ্ধার কাছ থেকে পাঁঠাটিকে ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে কিনে বাড়িতে নিয়ে আসি। কেনার পর দেখতে পাই যে পাঠাটির সামনে দুইটি দুধের বাট এবং বাটের পিছনে দুইটি অন্ডকোষ রয়েছে।পাঠাটির দিকে খেয়াল করে দেখতে পাই পাঠাটি খুব ছটফট করেছে। পাঠাটির ছটফটি দেখে দুধের বাটে চাপ দিলে বাট দিয়ে দুধ আশা শুরু করে এতে আমি অত্যন্ত অবাক হই। পাঁঠাটি প্রতিদিন আধা লিটার করে দুধ দেয়। আবার এটা দিয়ে স্ত্রী ছাগলদের বীজও দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাসুদার রহমান বলেন, পাঁঠা দুধ দেয় বিষয়টি অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। এটি জেনিটিক্যালি এনামেলিস হরোমনজনিত সমস্যার কারণে হতে পারে। পাঁঠাটি বীজ দেওয়ার কাজে ব্যবহার এবং একইসঙ্গে দুধ দেওয়ার বিষয়টি একেবারে নতুন। তবে এ দুধ স্বাস্থ্যসম্মত এবং খাওয়ার উপযোগী কি না তা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।