উপমহাদেশের জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট। ইউরোপিয়ানরা এই খেলাকে তেমনভাবে গ্রহণ করেনি। তাদের কাছে ফুটবলের আবেদন বেশি। তবে ধীরে ধীরে ক্রিকেটের প্রসার বৃদ্ধি পাচ্ছে সব মহাদেশে। এবার অনেকটাই চমক দিয়ে ক্রিকেটকে রাষ্ট্রীয় ক্রীড়া হিসেবে স্বীকৃতি দিল রাশিয়া সরকার। ২০১২ সালে আইসিসির সদস্য পদ লাভ করলেও নিজ দেশেই স্বীকৃত ছিল না ক্রিকেট। অবকাঠামোগত সুবিধার দিকে এখন মনোযোগী ক্রিকেট রাশিয়া।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্রিকেট রাশিয়ার সভাপতি অশ্বানী চোপড়া। ইউরোপীয় ক্রিকেট নেটওয়ার্কের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘রাশিয়া ক্রিকেটের জন্য এটা অবিশ্বাস্য এক মাইলফলক। এই সিদ্ধান্ত রাশিয়ায় ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে আমাদের প্রচেষ্টাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।’
গেলো বছর জুলাইয়ে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ ফাইনালের পরদিন আন্তর্জাতিক খবরে আসে রাশিয়ার ক্রিকেট। মিনিগলফকে রাষ্ট্রীয় ক্রীড়া হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও সে দফায় ক্রিকেটকে অনুমোদন দেয়া হয়নি।
ক্রিকেট রাশিয়ার তৎপরতা ও বিভিন্ন মহলের চেষ্টায় দশ মাস পর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলো পুতিন সরকার। এখন থেকে দেশটির ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে আর্থিক ও অবকাঠামোগত সুবিধা পাবে ক্রিকেট রাশিয়া।
এদিকে এ ব্যাপারে আইসিসির অফিশিয়াল পেজে বলা হয়েছে, ব্রিটিশদের হাত ধরে ১৮৭০ সালে রাশিয়ার ক্রিকেট শুরু হয়। তবে ১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লবের পর খেলাটির বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। তবে বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তার হাওয়া আবারও রাশিয়ায় লাগতে শুরু করেছে। ২০০৪ সালে রাশিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের নাম দেওয়া হয় ‘ক্রিকেট রাশিয়া’। আইসিসির সহযোগী সদস্যপদও দেওয়া হয় দেশটিকে। এতোকিছুর পর রাশিয়াতে স্বীকৃতি পেল ক্রিকেট।