বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়ি অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত ও তাদের সমর্থকেরা। সাবেক প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলনকে চাঁদপুর-১ আসনের মনোনয়নের দাবিতে কার্যালয়ের সামনে তার সমর্থকরা বিক্ষোভ করেন। প্রায় আধাঘণ্টা মহাসচিবের গাড়ি অবরোধ করে রাখে তারা। পরে রাত ৩টার দিকে গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেটে কার্যালয় ত্যাগ করেন মির্জা ফখরুল। এসময় এহসানুল হক মিলনের কর্মী সমর্থকরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় তারা মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ তোলে। এর আগে নির্বাচনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছেন বঞ্চিত প্রার্থীর সমর্থকরা। এসময় গেইট ভেঙে তারা কার্যালয়ের ভেতর ঢোকার চেষ্টা করে। মনোনয়ন বাণিজ্যের সঙ্গে বেশ কয়েকজন নেতা জড়িত বলে অভিযোগ করেন তারা। বিক্ষোভে উত্তাল বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়। মূল গেইট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের যেনো প্রাণপন চেষ্টা দলটির মনোনয়ন-বঞ্চিত প্রার্থীদের ক্ষুব্ধ সমর্থকদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খায় চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স-সিএসএফ। শনিবার( ৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শুরু হওয়া এ বিক্ষোভ থামাতে কার্যালয়ের ভেতর থেকে মাইকে বার বার অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু তাতেও তেমন কোনো কাজ হয়নি। উল্টো কার্যালয়ের ভেতরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয় এলোপাতাড়ি। তড়িঘড়ি করে বন্ধ করে দেয়া হয় ভেতরের কলাপসিবল গেইটও। ইটের আঘাতে ভাঙে বেলকনির থাইগ্লাস, আহত হন কয়েকজন সাংবাদ কর্মী। এরআগে বিকেলে, জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির একাংশ। চাঁদপুর-১ আসনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলনকে মনোনয়ন দিতে ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন তারা। এদিকে, শনিবার সকালে, রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ করেন মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীদের সমর্থকরা। পরে গেইটে তালা ঝুলিয়ে কার্যালয় অবরুদ্ধ করা হয়