দুবাই ও আবুধাবি রুটে মহামারির আগে যাদের টিকেট কেনা ছিল, এখন তাদের টিকেট আগে দেওয়া হচ্ছে বলে নতুন টিকেট প্রত্যাশীরা তা শুরুতে পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে বিমান।
টিকেট সঙ্কট নিয়ে বিদেশগামীদের ক্ষোভের মুখে বিমান জানিয়েছে, ঢাকা-দুবাই ও ঢাকা-আবুধাবি রুটে যে সমস্ত যাত্রী পূর্বে ফিরতি টিকেট করার পরও কোভিড-১৯ এর কারণে তখন যেতে পারেননি আগে তাদের টিকেট প্রদান করা হবে। ফিরতি টিকেট রি-ইস্যু করার জন্য কোন যাত্রীকে অতিরিক্ত কোন টাকা প্রদান করতে হবে না।
রোববার মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে ঢাকা-আবুধাবি-ঢাকা রুটে ৬টি, ঢাকা-দুবাই-ঢাকা রুটে ৭টি, ঢাকা-লন্ডন- ঢাকা রুটে ১টি, ঢাকা- কুয়ালালামপুর-ঢাকা রুটে ২টি, ঢাকা- গুয়াংজু-ঢাকা রুটে ২টি ও ঢাকা- হংকং-ঢাকা রুটে ২টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
কোভিড-১৯ এর কারণে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে বিমানের ফ্লাইট পরিচালনা করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। উপরন্তু, দুবাই ও আবুধাবিগামী কোন ফ্লাইটে ২৪০ জনের বেশি যাত্রী পরিবহন না করার ব্যাপারে সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা রয়েছে। উক্ত নির্দেশনার কারণে বিমানের বোয়িং-৭৭৭ উড়োজাহাজে ৪১৯ জন ও বোয়িং- ৭৮৭-৮ এ ২৭১ জন যাত্রী পরিবহনের সুযোগ থাকলেও তা করা যাচ্ছে না।
এছাড়াও আবুধাবিতে বিমান পরিচালনার জন্য আবুধাবি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সেপ্টেম্বর-২০২০ মাসের সিডিউল এখনো পর্যন্ত না দেয়ায় বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-আবুধাবি-ঢাকা রুটে পরিচালিত ফ্লাইটের সেপ্টেম্বর মাসের টিকেট বিক্রি করা যাচ্ছে না। সিডিউল অনুমোদনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই সমস্ত কারণে বর্তমানে ঢাকা- দুবাই ও ঢাকা- আবুধাবি রুটে টিকেটের কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, ঢাকা-দুবাই ও ঢাকা-আবুধাবি রুটে যে সমস্ত যাত্রী পূর্বে ফিরতি টিকেট করার পরও কোভিড-১৯ এর কারণে তখন যেতে পারেননি আগে তাদের টিকেট প্রদান করা হবে।
বিমান জানায়, ফিরতি টিকেট রি-ইস্যু করার জন্য কোন যাত্রীকে অতিরিক্ত কোন টাকা প্রদান করতে হবে না। ফিরতি টিকেট রি-ইস্যু করা সম্পন্ন হওয়ার পরই কেবল নতুন করে টিকিট বিক্রি শুরু করা হবে। এছাড়াও আবুধাবি রুটের সেপ্টেম্বর-২০২০ মাসের সিডিউল আবুধাবি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদন হওয়া মাত্রই সেপ্টেম্বর মাসের টিকেট বিক্রি করা শুরু হবে।