হুমায়ুন কবির, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার প্রাচীন ও সর্ব বৃহৎ রামরায় দিঘীটি যেন অতিথি পাখিদের কলতানে মুখরিত। এসব পাখি দেখতে প্রতিদিন ভীড় করছে অনেক দর্শনার্থী।
সরেজমিনে গিয়ে এসব দৃশ্য চোখে পড়ে। পুরো দিঘির জলাশয় পানি ও পাখিতে সেজেছে নতুন সাজে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাখি ও জলাশয়ের প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম দৃশ্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর। প্রতিবছর শীত এলেই এসব পাখি এখানে আসে। আবার শীতের শেষে চলে যায় আপন আপন ঠিকানায়। পাখিদের কলকাকলিতে পুরো এলাকা মুখরিত। পাখি প্রেমি ও সৌন্দর্য পিপাসুরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত পর্যটন কেন্দ্র’র পাখিগুলোকে দেখার জন্য ছুটে আসেন। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে ঘুরতে আসা মানুষের সংখ্যা বেশি দেখা যায়।
রামরায় দিঘিতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রতিদিন ঝাঁকে ঝাঁকে থাকছে অতিথি পাখির দল। পাখিদের মুহুর্মুহু কলতানে পুরো এলাকা পরিণত হয়েছে পাখির স্বর্গরাজ্যে। সন্ধ্যা নামলেই দিঘীপাড়ের লিচু বাগানে আশ্রয় নেয় এসব পাখি। পাখিদের এই মুহুর্মুহু কলতানের টানে প্রতিদিনই দূর দুরান্ত থেকে রামরাই দিঘিতে ছুটে আসছেন পাখি প্রেমী পর্যটকরা।
এ দেশের নদ-নদী, হাওর-বাওড়ের ভালোবাসার টানে লক্ষ হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে রামরায় দিঘীতে আসে তারা। উপজেলা শহর থেকে ৪ কিমি দূরে উত্তরগাঁও গ্রামের নিকটেই বরেন্দ্র অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম জলাশয় রামরায় দিঘীর অবস্থান। শহর থেকে যে কোন যানবাহনে ১০ থেকে ১৫ টাকা ভাড়া নেয়। যেতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগে।
রেখা নামের একজন দর্শনার্থী জানান, রামরায় দিঘিটি এখন নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। আগের থেকে এখন অনেক সুন্দর হয়েছে। রামরায় দীঘিতে অতিথি পাখি এসেছে শুনে দেখতে এসে বেশ ভালো লাগলো। প্রতিবছরে পাখির আগমনে রামরায়-দিঘী সৌন্দর্য যেন আরো দ্বিগুন হয়ে ওঠে।
মৎস্য চাষী নওরোজ কাউসার কানন, জানান অতিথি পাখির আগমনে আমরা অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। তারপরও আমরা পাখিদের যেন সুন্দর একটি অভয়ারণ্য গড়ে ওঠে সেদিকে খেয়াল রাখছি। কেউ যেন পাখি শিকার না করতে পারে সে বিষয়ে প্রশাসনসহ আমরা সর্বদা নজরদারি করছি।
জানা গেছে, রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দর্শনার্থীদের জন্য এবার নতুন করে একটি সুন্দর গেট, বসার জায়গা, গেস্ট হাউজ তৈরীসহ পুকুর ঘাটের সিঁড়ি মেরামত করেছে। এতে আগের চেয়ে পুকুরের সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দর্শনার্থীদের উপস্থিতির সংখ্যাও বেড়ে গেছে বহুগুণ।