প্রদীপ কুমার দেবনাথ।
অচিরেই চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, হাইকোর্টে এখন বেগম জিয়ার দুটি মামলা আছে। একটি হলো জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা, আরেকটি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা। এই সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্ট ডিভিশনে এ দুটি মামলায় জামিন চাওয়া হবে। আমরা আশা করি, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়ার জামিন হবে। যদি জামিন না হয় তাহলে অবশ্যই আমরা আপিল বিভাগে যাব।
গতকাল রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি’ শীর্ষক এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন। আয়োজক সংগঠনের সহসভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাত উপস্থিত ছিলেন।
হাইকোর্টে এখন খালেদা জিয়ার দুটি মামলা আছে উল্লেখ করে মওদুদ বলেন, একটি হলো জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা এবং আরেকটি হলো জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা। কিন্তু আমরা জানি, সরকারের রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে আজকে প্রায় একবছর চার মাস যাবত খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবো। কিন্তু তার সত্যিকারের মুক্তি আসবে আন্দোলনের মাধ্যমে। রাজপথেই খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত হতে পারে। এজন্য আমাদের সংগঠিত হতে হবে এবং কর্মসূচি দিতে হবে। আমাদেরকে এমন কর্মসূচি দিতে হবে, যাতে সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
মওদুদ আহমদ বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সারা বাংলাদেশের মানুষ উৎকণ্ঠিত। তারা সবাই চায়, খালেদা জিয়া যাতে আর কারাগারে না থাকেন। এটা দেশের ১৬ কোটি মানুষের ইচ্ছা। কিন্তু সম্ভব হচ্ছে না। সম্ভব হচ্ছে না কারণ, সরকারের রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে আমরা শত চেষ্টা করেও জামিনের সুরাহা করতে পারছি না। প্রস্তাবিত বাজেটের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারের সুবিধাভোগীদের জন্য এ বাজেট। এ বাজেট জনসাধারণের জন্য না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশ থেকে ৫ কোটি ৮৮ লাখ কোটি টাকা বিদেশে গেছে। এটা বর্তমান সরকারের বাজেটের চেয়েও বেশি টাকা। যে হারে টাকা পাচার হচ্ছে! এ পাচার কারা করছে? এ সরকারের মদদে যারা ব্যবসা-বাণিজ্য করে টাকা করেছে, সেটা দেশে বিনিয়োগ না করে বিদেশে পাচার করেছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য সুদিন আসছে। এই সুদিন এখন সময়ের ব্যাপার। এই সুদিন সেই দিন আসবে, যেদিন গণতন্ত্র আসবে, বেগম জিয়া মুক্ত হবেন, আইনের শাসন এবং বিচারবিভাগের স্বাধীনতা ফিরে আসবে। সেই দিনের অপেক্ষায় আপনাদের থাকতে হবে।