ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা থেকে রেকর্ড পরিমাণ ৭ কোটি টাকার মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আহরণ হয়েছে। প্রথম দিকে ভ্যাট আহরণের পরিমাণ কম থাকলেও শেষ ৭দিনে গড়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা হয়। মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলা শেষ হয়েছে।
এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া বলেন, ‘এবারের মেলায় ব্যবসায়ীদেরকে আমরা ভ্যাট আইন পরিপালনে উদ্বুদ্ধ করেছি। এতে ভাল সাড়া পাওয়া গেছে। একইসাথে ভ্যাট ফাঁকির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সবকিছু মিলিয়ে দেখা গেছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান নিয়মিত ভ্যাট পরিশোধ করেছে।’
তিনি জানান, এবারে বাণিজ্য মেলা থেকে ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কর্তৃপক্ষ প্রায় ৭ কোটি টাকার ভ্যাট আহরণ করেছে। গতবছর এর পরিমাণ ছিল ৫ কোটি টাকা।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সাধারণত মেলা শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ আগ পর্যন্ত গড়ে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার ভ্যাট আহরণ হয় কিন্তু শেষের ৭ দিনে গড়ে ৫০ লাখ টাকা আহরণ হয়। ভ্যাট বিভাগের তৎপরতার কারণে এবার রাজস্ব আহরণ বেড়েছে বলে তিনি মনে করেন।
এবারের বাণিজ্য মেলায় রাজস্ব আদায়ে অন্যান্য বছরের তুলনায় দ্বিগুন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। ৩০ জন কর্মকর্তা বিভিন্ন স্টলে গিয়ে বিক্রির রসিদ এবং ভ্যাট পরিশোধের চালান খতিয়ে দেখেন। কোনো প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট পরিশোধের তথ্যে গরমিল পাওয়া গেলে হিসাব কষে সঠিক পরিমাণের রাজস্ব দিতে বলা হয়। কর্মকর্তারা সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে স্টলে স্টলে ভ্যাট পরিশোধের তথ্য খতিয়ে দেখেন।
উল্লেখ্য, এবার বাণিজ্য মেলায় ভ্যাট কর্মকর্তারা ২৫টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে মামলা এবং অর্থদন্ডে দন্ডিত করে। এসব অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের নিকট থেকে ভ্যাট আদায় করলেও সরকারি কোষাগারে জমা দেয়নি এবং ভ্যাট চালান ইস্যু করেনি।
এবার মেলায় বিক্রীত সব পণ্যের ওপর একই হারে ভ্যাট প্রযোজ্য ছিল না। পণ্যভেদে ৪ থেকে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায় করা হয়।
সূত্র : বাসস