কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আর এ কারণে চলতি আগস্ট মাসের নয় দিনেই ৭২ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। এর আগে এত কম সময়ে এ পরিমাণ রেমিট্যান্স কখনো আসেনি।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বেশি অর্থ দেশে পাঠানোয় অর্থনীতির অন্যতম প্রধান এই সূচক বেড়েছে বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা। এ ছাড়া বাজেটে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়ায় রেমিট্যান্সে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
রেমিট্যান্স প্রবাহে সুখবর নিয়ে শুরু হয়েছিল নতুন অর্থবছর। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৬০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। রেমিট্যান্সের ওই অংক ছিল মাসের হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আর গত বছরের জুলাই মাসের চেয়ে ২১ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি।
জুলাই মাসের ধারাবাহিকতায় আগস্ট মাসের শুরুতেও বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ১২ আগস্ট কোরবানির ঈদ উদযাপিত হয়। তার আগে ৯ আগস্ট পর্যন্ত রেমিট্যান্সের তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তাতে দেখা যায়, ১ আগস্ট থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত ৭১ কোটি ৬২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে।
রোজার ঈদকে সামনে রেখে প্রবাসীরা দেশে বেশি অর্থ পাঠানোয় মে মাসে ১৭৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে যা, ছিল মাসের হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
তার আগে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে, ১৫৯ কোটি ৭২ লাখ ডলার।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে আগের বছরের চেয়ে ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ রেমিট্যান্স বেশি পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি ছিল ১৭ দশমিক ৩২ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থবছরেও ভালো প্রবৃদ্ধি নিয়ে শুরু হয়েছে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে পরিবার-পরিজনের কাছে বেশি টাকা পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এ ছাড়া প্রণোদনা দেয়ার কারণেও রেমিট্যান্স বাড়ছে বলে তিনি জানান। তবে ঈদের পর রেমিট্যান্স প্রবাহে কিছুটা ধীরগতি থাকবে বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, রেমিট্যান্সে প্রণোদনা দিয়ে একটি ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর ফলে প্রবাসীরা দেশে বেশি অর্থ পাঠাবেন। অর্থনীতিতে আরো বেশি অবদান রাখবেন।
সুত্র : বিডি নিউজ।