মৌলভীবাজারের সৈয়দ শাহ মোস্তফা (র.) এর দরগাহ শরীফে গতকাল সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ৬৮৩তম উরস মোবারক। উরস উপলক্ষে রোববার রাত থেকে দরগায় তৈরি হচ্ছে শিরনী। দরগার বাইরে বসেছে মনোহারী পণ্যের মেলা। দূর দূরান্ত থেকে দরগায় আসছেন ধর্মপ্রাণ ভক্তরা।
মৌলভীবাজারে প্রতিবছর সৈয়দ শাহ মোস্তফা (র.) এর দরগাহ শরীফে উরসের আয়োজন করা হয়। উরসকে কেন্দ্র করে এখানে প্রতিবারই বসে দুই দিনব্যাপী মেলা। মেলাকে ঘিরে লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় দরগাহ প্রাঙ্গণ। দরগায় উরসের আগের রাত থেকেই আগত মুসল্লিদের জন্য রান্না হয় শিরনী। সুযোগ পেলে খেয়ে আসেন শাহ মোস্তফা (র.) এর দরগার শিরনী। এ মেলা চলবে আজ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত)।
সৈয়দ শাহ মোস্তফা (র.) কে ছিলেন: এ অঞ্চলের মুসলিম পুরাণ মতে, হযরত শাহ জালাল এর সফর সঙ্গী পীরে কামেল হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা সিলেটের দক্ষিনাঞ্চলে আধুনিক মৌলভীবাজার অঞ্চলের মোস্তফাপুর গ্রামাঞ্চলে বসবাস করতঃ ইসলাম প্রচারে আত্ব নিয়োগ করেন।
প্রচলিত কিংবদন্তী ও বিভিন্ন তথ্য মতে এসময় বর্শিজোড়া এলাকায় বসবাসও রাজ্যশাসনকারি সামন্ত শাসক চন্দ্র নারায়নের সিংহাসনে একদা এক বিশধর সর্প বসে থাকলে রাজ পরিষদ সর্প বিতাড়নে ব্যর্থ হয়ে রাজ গনকের পরামর্শে পীরে কামেল হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা (রঃ) হুজরায় হাজির হয়ে সাহায্য প্রার্থনা করেন।
দয়ালু ও মানব হিতৈষী পীরে কামেল সৈয়দ শাহ মোস্তফা রাজ বাড়ীগমন করেন। সেখানে তিনি বাঘের পিঠে সওয়ার হয়ে গিয়েছিলেন কথিত আছে। বিষধর সাপকে চাবুকের মত ব্যবহার করে বাঘের পিঠে সওয়ার হয়ে রাজবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন সৈয়দ শাহ মোস্তফা (র.)।
রাজা, রাজ সিংহাসন ও রাজ বাড়ি থেকে সাপ ও আপদ বিপদ মুক্ত করেন। তখন এতদাঞ্চলে গভীর বনজঙ্গঁল ছিল। জঙ্গঁলে বাঘ সহ বিষধর সাপ ও ভয়ংকর বন্য প্রানীর বসবাস ছিল। আধুনিক কালে এসে ও পাহাড় বর্শিজোড়ায় বাঘের আনাগুনা দেখা গেছে। এ থেকে শাহ্ মোস্তফা (র.) প্রচারনায় বিমুখ হয়ে পড়েন সকলের কাছে।
আজ ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৯:২০ | রবিবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি