পদ্মাসেতু এখন পুরোপুরি সাড়ে চার কিলোমিটারে রুপ পেয়েছে ৩০ তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে।
শনিবার (৩০ মে) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে জাজিরা প্রান্তের ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারের উপর বসানো হয় ৩০ তম স্প্যান।
এদিকে, জাজিরা প্রান্তে একটি ও মাওয়া প্রান্তে ১০ টি স্প্যান বসানো বাকি রয়েছে। এর মধ্যেই সড়কপথ বিস্তৃত হয়েছে এক কিলোমিটার এবং রেলপথ দেড় কিলোমিটারের কাছাকাছি।
এ ব্যাপারে পদ্মাসেতু নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রকৌশলীরা জানান, মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যান ক্রেনে তুলে নিয়ে জাজিরায় পৌঁছাতে ৬ কিলোমিটার পাড়ি দিতে হয়। এভাবে গত আড়াই বছর ধরে স্প্যান বসানো হয়েছে। এখন জাজিরা প্রান্তে শেষ হতে চলছে স্প্যান বসানোর কাজ। শুধু বাকি ৩১তম স্প্যান বসানো।যা বর্ষা মৌসুমের আগেই বসানো সম্ভব হবে।এরপরে মাওয়া প্রান্তের একের পর এক স্প্যান বসিয়ে মুন্সিগঞ্চের সঙ্গে সেতুবন্ধল হলেই শেষ হবে পদ্মাসেতুর কাজ।
জানা গেছে, মাওয়া প্রান্তে স্প্যান বসানোর জন্য খুঁটিগুলো শতভাগ প্রস্তুত। আর মাওয়ার প্রথম খুঁটি থেকে থেকে দ্বিতীয় খুঁটিতে স্প্যান বসানোর জন্য ক্রেন প্রবেশের পথ তৈরি করতে ড্রেজিং করে নদী প্রশস্ত করা হয়েছে।
পদ্মাসেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, পদ্মাসেতুর ৪১ টি স্প্যানের ৩০টি পযন্ত বসানো শেষ হয়েছে। বাকি ১১টির ১০টি বসবে মাওয়া প্রান্তে। যা চলতি বষা ও শুষ্ক মৌসুমে শেষ হবে। একই সঙ্গে সড়কপথ সেতুর ভেতরে রেলপথের কাজ এগিয়ে চলছে। এখন পযন্ত সেতুর সার্বিক অগ্রগতি ৮৯ শতাংশ।
অন্যদিকে সরকারি ঘোষণা অনুসারে, ২০২১ সালের জুন নাগাদ শেষ হবে পদ্মাসেতুর কাজ। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে কাজের গতি কিছুটা কমেছে। এ কারণে আরও অন্তত ৬ মাস সময় বেশি লাগতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। সে হিসেবে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো পদ্মাসেতু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলাকে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সড়ক ও রেলপথে যুক্ত করবে। দেশের নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৩৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই নির্মাণ মহাযজ্ঞ এখন শেষের খুব কাছাকাছি।