আগামী ২০২৮ সালের মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলবে চীন। যা আগের অনুমানের থেকে পাঁচ বছর আগেই হবেই বলে গবেষণায় জানা গেছে। করোনাভাইরাস ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের চেয়ে আগত বছরগুলোতে চীনের প্রবৃদ্ধি বেশি হবে বলে সিইবিআর এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনোমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিইবিআর) প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে নতুন এ আভাস দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে আভাস দেওয়া হয়েছে, ২০২১-২৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৭ শতাংশ। এর পর ২০২৬ সাল থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত এ প্রবৃদ্ধি ধীর হয়ে বছরে ৪.৫ শতাংশে দাঁড়াবে। অপরদিকে ২০২১ সালে মহামারির ধকল সামলাতে যুক্তরাষ্ট্রকে হিমশিম খেতে হবে। ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বছরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি হবে ১.৯ শতাংশ। এর পরবর্তী বছরগুলোয় প্রবৃদ্ধির হার হবে ১.৬ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কোভিড-১৯ মহামারি ও এ সংক্রান্ত অর্থনৈতিক বিপর্যয় নিশ্চিতভাবেই চীনের পক্ষে কাজ করবে।’
২০৩০-এর দশক পর্যন্ত জাপান ডলারের দিক থেকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবেই বহাল থাকবে। এর পর জাপানকে ছাড়িয়ে যাবে ভারত। আর জার্মানি তখন চতুর্থ থেকে পঞ্চম অবস্থানে চলে যাবে। আর বর্তমানে পঞ্চম অবস্থানে থাকা যুক্তরাজ্য ২০২৪ সালে ষষ্ঠ অবস্থানে চলে যাবে।
প্রতিবেদনের আভাস অনুযায়ী যুক্তরাজ্য ২০২১ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একক বাজার থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও ২০৩৫ সাল নাগাদ ফ্রান্সের তুলনায় ব্রিটিশ জিডিপি ডলারে ২৩ শতাংশ বেশি হওয়ার আভাস দেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল অর্থনীতির হাত ধরে ব্রিটেনের এ অগ্রগতি হবে।
সিইবিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে বিশ্ব অর্থনীতির শীর্ষ ১০ দেশ অর্থনীতির মধ্যে ইউরোপের অবদান ছিল ১৯ শতাংশ। তবে ইইউ ও ব্রিটেনের মধ্যে যদি ভয়াবহ বিভক্তি দেখা দেয় তবে ২০৩৫ সালে তা ১২ শতাংশ কিংবা তার চেয়েও কমে যাবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিশ্ব অর্থনীতিতে মহামারির প্রভাবের কারণে প্রবৃদ্ধির গতি ধীর হবে না, বরং মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে।
প্রসঙ্গত, চীনে করোনাভাইরাসের প্রথম সন্ধান মিললেও দেশব্যাপী ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ার আগেই রাশ টানতে সক্ষম হয় বেইজিং প্রশাসন। বিপরীতে করোনায় নাস্তানাবুদ হয়ে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র। সুত্রঃ ডেইলি মেইল।