২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার হতে যাচ্ছে প্রায় ৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এ বাজেটে করহার ব্যাপকভাবে বাড়ানো হচ্ছে। এতে বেশ কিছু পণ্যের দাম বাড়তে পারে। এসব পণ্য ও পণ্যের উপকরণে শুল্ক বাড়ানো এবং ভ্যাট বসানোর ঘোষণা থাকছে।
আমদানি করা মোবাইল ফোন, প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্র, বাসমতি চাল, চশমা, কাজু বাদাম, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, সিগারেট, জর্দা-গুল, খেজুর ও বিদেশি টাইলসসহ আরও কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
আগেই এমন আভাস দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
অর্থ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর জানায়, প্লাস্টিকের তৈরি সব ধরনের টেবিলওয়্যার, কিচেনওয়্যার, গৃহস্থালি সামগ্রীর দাম বাড়তে পারে। এসব পণ্যে বর্তমানে ৫ শতাংশ ভ্যাট কার্যকর আছে। আগামী বাজেটে তা বাড়িয়ে ৭ শতাংশ হতে পারে। আর তা বাড়লে বাজারে প্রভাব পড়তে পারে।
বাজেটে সব ধরনের ওভেন আমদানির শুল্ক ৩০ শতাংশ বাড়িয়ে মোট করহার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে বিদেশি ওভেনের দাম বাড়তে পারে। অবশ্য দেশে ওভেন উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া আছে। ফলে বিদেশি ওভেনের দাম বাড়লেও দেশি ওভেনের দাম নাও বাড়তে পারে।
সংশ্লিষ্ট পণ্যের দাম বেড়ে গেলে ঘর-রান্নাঘর সাজানোয় খরচ বাড়তে পারে। বাসমতির দাম বাড়লে বাড়তি টাকা গোনা লাগতে পারে বিরিয়ানি-তেহারি পছন্দ করা ভোজনরসিকদের।
স্থানীয় উৎপাদনকে সুরক্ষা দিতে এবং আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে কাজু বাদামে। কাজু বাদাম আমদানিতে শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৩ শতাংশ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ফল ও বাদামের আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনায় সামনে এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন