মোঃ খোরশেদ আলম,মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ শ্বশুর-শাশুরীর মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে ১৯ দিনের কন্যা শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যা করেছে এক মা। ঘটনাটি উপজেলার বাংগরা বাজার থানাধীন বাইড়া গ্রামে। ঘাতক রহিমা আক্তার রত্না (২০) ওই গ্রামের প্রবাসী মজিবুর রহমানের স্ত্রী।উপজেলার টনকি ইউনিয়নের বাইড়া গ্রামের একটি খাল থেকে শুক্রবার বিকেলে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মা রহিমা আক্তার রত্নাকে গ্রেফতার করে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে বাংগরা বাজার থানা পুলিশ।
শ্বশুর-শাশুরীর মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে ১৯ দিনের কন্যা শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যা করেছে এক মা। ঘটনাটি উপজেলার বাংগরা বাজার থানাধীন বাইড়া গ্রামে। ঘাতক রহিমা আক্তার রত্না (২০) ওই গ্রামের প্রবাসী মজিবুর রহমানের স্ত্রী।উপজেলার টনকি ইউনিয়নের বাইড়া গ্রামের একটি খাল থেকে শুক্রবার বিকেলে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মা রহিমা আক্তার রত্নাকে গ্রেফতার করে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে বাংগরা বাজার থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, রহিমা কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ায় তার শুশ্বর-শাশুড়ী প্রায়ই মানসিক নির্যাতন করতো। এদিকে সাংসারে আর্থিক অনটনের কারনেও মানসিক ভাবে কষ্ট দিতো। এমতাবস্তায় মানসিক কষ্ট সহ্য করতে না পেরে গত ১২আগস্ট ২০২১ সকাল ১০টার দিকে রহিমার শ্বশুর- শ্বাশুড়ি-দেবর বাড়ীর পাশে জমিতে কৃষি কাজে গেলে এই সুযোগে রাহিমা তার ১৯ দিনের শিশু কন্যা রাবেয়া বশরীকে বুকের দুধ পান করিয়ে বাড়ীর পাশের খালের পানিতে ফেলে দেয়
পরবর্তীতে রাহিমার শাশুড়ি জমি থেকে ফিরে তার নাতনীকে না পেয়ে এলাকায় খোঁজাখুজি শুরু করেন। একপর্যায়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। মুরাদনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমানের নেতৃত্বে বাংগরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার, সাব-ইন্সপেক্টর শাহনেওয়াজ ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে পুলিশের সন্দেহ হলে ঘটনাস্থলের পাশের খালে জাল ফেলে তল্লাশি চালিয়ে খাল থেকে শিশু রাবেয়া বশরী লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ শিশুটির মা রাহিমা, দাদী রহিমা, দাদা বাচ্চু মিয়া, ননদ হালিমাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এসময় মা রাহিমা আক্তার রত্না নিজে পানিতে ফেলে হত্যার কথা স্বীকার করে। সে জানায় যে, শিশুটি জন্মের পর থেকেই পারিবারিক বিভিন্ন মানসিক অত্যাচার, শুশুর শাশুড়ির নানান কথাবার্তা ও আর্থিক দৈন্যতার কারণে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে শিশুটিকে খালে ফেলে দেন।
বাংগরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, এঘটনায় এ ঘটনায় নিহতের দাদা বাদী হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংগরা বাজার থানায় ৩০২ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত মা রহিমাকে গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।