ঘণ্টায় প্রায় ১৮০-২০০ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ওপর দিয়ে স্থলভাগে তীব্র আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
দুটি আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল বিশ্লেষণ করে ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে তিনি জানান, খুবই শক্তিশালী হতে পারে এ ঘূর্ণিঝড়। তার মতে, আগামী রোববার (১৪ মে) সকাল ৬টার পর থেকে ১৫ মে সকাল ৬টার মধ্যে অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে মোখা ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার বেগে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু জেলার ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করবে। এ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল থেকে প্রাপ্ত Ensemble (সংকলন/সমষ্টিগত) আবহাওয়া পূর্বাভাসের ওপর তিনি পূর্ণ আস্থা রাখছেন বলেও জানান।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
তবে স্থলভাগে আঘাতের স্থানটি নিয়ে এখনও সামান্য পরিমাণ অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে জানিয়ে মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, ঘূর্ণিঝড়টি মিয়ানমারের দিকে কিংবা বরিশাল বিভাগের দিকে সামান্য পরিমাণ ঝুঁকে পড়তে পারে। অর্থাৎ, ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে। একইভাবে এটি কিছুটা ডান দিকে সরে গিয়ে কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু জেলার ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করার আশঙ্কা রয়েছে। মোখা কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপ, টেকনাফ, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী উপজেলার ওপর দিয়ে অতিক্রম করবে। তবে টেকনাফের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোর ওপর দিয়ে অতিক্রম করার আশঙ্কা প্রবল।
মোস্তফা কামাল পলাশ আরো জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকাগুলো ১৫ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকাগুলো ৭ থেকে ১০ ফুট এবং খুলনা বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলো ৫ থেকে ৮ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি