দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে দুটি পৃথক ক্রয় প্রস্তাবের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে ২ কার্গো এলএনজি আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এতে মোট ব্যয় হবে ১৩৫৫ কোটি ৮৯ লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের জানান, সার, ছোলা, চিনি ও সয়াবিন তেল এই চারটি পণ্য আমদানির প্রস্তাব ছিল। এগুলোর সবগুলোই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবগুলো আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। রমজান সামনে রেখে ছোলা এবং তেল আমদানি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আমার ইচ্ছা আছে কিছু দিন পরে খেজুর আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা কোনোভাবেই যাতে সাধারণ মানুষের কষ্ট না হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে (১২-১৩ নভেম্বর ২০২৪ সময়ে ৩১তম) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
সূত্রটি জানায়, পেট্রোবাংলা ১ কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। ৩টি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে দর প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক্সেলারেট এনার্জি এলপি, ইউএসএ এর কাছ থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ ১৪.৫৫ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি কিনতে ব্যয় হবে ৬৮৬ কোটি ৩৮ লাখ ৭৫ হাজার ২০০ টাকা।
সভায় একই পদ্ধতি অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে (১৬-১৭ নভেম্বর ২০২৪ সময়ে ৩২তম) এলএনজি আমদানির একটি প্রস্তাবের প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
পেট্রোবাংলা এই এক কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। ৩টি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে দরপ্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক্সেলারেট এনার্জি এলপি, ইউএসএ এই এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রতি এমএমবিটিইউ ১৪.৬৫ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ক্রয়ে ব্যয় হবে ৬৬৯ কোটি ৫০ লাখ ৭৯ হাজার ৩০০ টাকা। অর্থাৎ ২ কার্গো এলএনজি ক্রয়ে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৫৫ কোটি ৮৯ লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা।
এর আগে গত ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে সুইজারল্যান্ড থেকে থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই দুই কার্গো এলএনজির জন্য মোট ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ২৯৭ কোটি ৭৬ লাখ ৭৭ হাজার ৪৪০ টাকা।
এর মধ্যে এক কার্গো ৬৫৭ কোটি ৬১ লাখ ১১ হাজার ৩৬০ টাকা (ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ) ব্যয়ে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ধরা হয় ১৩.৯৪ মার্কিন ডলার।
আর এক কার্গো এলএনজি ৬৪০ কোটি ১৫ লাখ ৬৬ হাজার ৮০ টাকা (ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ) ব্যয়ে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ধরা হয় ১৩.৫৭ মার্কিন ডলার।
অন্যদিকে আজ বিভিন্ন ধরনের ৯০ হাজার মেট্রিক টন রাসায়নিক সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এসব সার কেনা হবে কাতার, সৌদি আরব ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান থেকে। এতে মোট ব্যয় হবে ৪০১ কোটি ৫ লাখ ৬২ হাজার টাকা।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম