অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল ফোনে কথা বলাসহ অন্যান্য সেবার ওপর বাড়তি ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে করোনাভাইরাসের এ দুর্যোগকালে বাজেটে বাড়তি করারোপ করায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। তাই এখন সেই অবস্থান থেকে সরে আসছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অর্থ মন্ত্রণালয় ও এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ সোমবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২০ সালের অর্থবিল পাস করার সময় মোবাইল ফোনের কলরেটে বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিতে পারেন অর্থমন্ত্রী।
এর আগে গত ১১ জুন বাজেট বক্তৃতায় মোবাইল ফোনে কথা বলা, খুদে বার্তা পাঠানো ও ইন্টারনেট ব্যবহারে সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছিলেন অর্থমন্ত্রী।
সূত্র জানায়, বাজেট প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গেই সব ধরনের সম্পূরক শুল্ক কার্যকর হয়ে যায়। ফলে মোবাইল ফোনে কথা বলা, খুদে বার্তাসহ অন্যান্য সেবায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট, এক শতাংশ সারচার্জ, ১৫ শতাংশ প্রস্তাবিত সম্পূরক শুল্ক গ্রাহক পর্যায়ে আরোপ করা হয়। সবমিলিয়ে এখন ১০০ টাকা রিচার্জ করলে সরকার পায় ২৫ টাকা। ফলে গ্রাহকের ব্যবহার করতে পারেন ২৫ টাকা। সম্পূরক শুল্কহার আবার আগের জায়গায় ফেরত গেলে সরকার পাবে ২২ টাকা। আর গ্রাহক ৭৮ টাকা ব্যবহার করতে পারবেন। বাড়তি শুল্ক আরোপ করায় গ্রাহকের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে ৩ টাকা।
জানা গেছে, আজ সোমবার অর্থবিল পাশের দিন সংসদে বাজেটের ওপর সমাপনী বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া সংশোধনী কর প্রস্তাবসমূহ উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী। তারপর কণ্ঠভোটে পাস হবে অর্থ বিল-২০২০। পরদিন ৩০ জুন মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে পাস হবে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট।
উল্লেখ্য, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে স্থবির হওয়া অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা সামনে রেখে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বাজেটের শিরোনাম ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’।