উপনির্বাচনে ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ এনে বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
তিনি বলেন, ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু হলেও ফলাফলে গণ্ডগোল করা হয়েছে। কিছু শিক্ষিত লোক ভোটের ফলাফল পাল্টে দিয়েছেন।
উপনির্বাচনে বগুড়ার দুই আসনে পরাজয়ের পর বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম এসব অভিযোগ করেন।
‘সবাই বলছেন, আপনি পাস করেছেন, ভোটাররাও ভোট দিয়েছেন। আমার এতো ভোট গেল কই? কিন্তু ফলাফল ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগের লোকজন বলছেন, মশাল জিতে গেছে; এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বাকি। আওয়ামী লীগের লোকজনও আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়েছেন। ওই ভোটগুলো গেল কই? এই ফলাফল আমি মানি না। আমাকে চক্রান্ত করে হারিয়ে দিলেও যে ভোট পেয়েছি তাতে আমি বিজয়ী।’ হিরো আলম
হিরো আলম বলেন, ‘এসব অনিয়মের বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ দেওয়া হয়নি। তবে ফলাফলের বিরুদ্ধে আদালতে যাব। ১০টি কেন্দ্রের ভোটগণনা বাদ দিয়েই ফলাফল দিয়েছে প্রশাসন। এই কেন্দ্রগুলোতে কত ভোট পেয়েছি তা জানানো হয়নি আমাকে।’
তিনি বলেন, ‘সদরের ভোট নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। লাহেরি পাড়ায় আমার এজেন্টকে ঢুকতে দেয়নি। তানসেনের কোনো নাম-গন্ধই ছিল না। তাকে পাস করানো হয়েছে।’
হিরো আলমের অভিযোগ, ‘কিছু কিছু শিক্ষিত লোক আমাকে মেনে নিতে চান না। তারা ভাবেন, আমি পাস করলে দেশের সম্মান যাবে, অনেকের সম্মান যাবে। অফিসারদের লজ্জা যে হিরো আলমকে স্যার বলে সম্বোধন করতে হবে। সেজন্যই আমাকে জিততে দেওয়া হয়নি।’
হিরো আলম ভোটারদেরকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আমার ভোটারদের পাশে অতীতে ছিলাম, আগামীতেও থাকব। আপনারা দুঃখ করবেন না, আপনাদের চোখে পানি মানে আমার চোখে পানি। এ সময় সংবাদ প্রচার করায় সাংবাদিকদেরও ধন্যবাদ জানান হিরো আলম।’
বগুড়া-৪ আসনে ফলাফলে হিরো আলম ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে মশাল প্রতীকের কাছে হেরেছেন। তবে বগুড়া-৬ আসনে তিনি ৫ হাজার ২৭৪ ভোট পেয়েছেন।