যেসব নারীরা হিজাব পড়ছেন না তাদের শনাক্তে প্রকাশ্য স্থাপনায় গোপন ক্যামেরা বসাচ্ছে ইরান। দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, যে নারীরা হিজাব পড়বে না, তাদের ‘পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে’ লিখিত বার্তা পাঠানো হবে। গতকাল শনিবার (৮ এপ্রিল) তারা এ সম্পর্কে একটি বিবৃতি জারি করে।
ওই বিবৃতিতে পর্দা করাকে ‘ইরানি জাতির সভ্যতার ভিত্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
গত বছর হিজাব না পরার অভিযোগ তুলে ২২ বছর বয়সী কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনিকে গ্রেপ্তার করে ইরানের নৈতিক পুলিশ।
পুলিশি হেফাজতে তার মৃত্যু হলে দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর গ্রেপ্তারের ঝুঁকি থাকলেও ইরানে অনেক নারী হিজাব পরা ছেড়ে দেয়। বিশেষ করে বড় শহরগুলোতে।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
ইরানের রাষ্ট্রীয় ইসলামিক রিপাবলিক নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, এসব ‘স্মার্ট ক্যামেরা এবং অন্যান্য যন্ত্র’ ব্যবহার করে হিজাব না পরা নারীদের শনাক্ত করা হবে। এছাড়া হিজাব আইন ভঙ্গ করা নারীদের ঠিকানায় কাগজপত্র এবং সতর্ক করে বার্তা পাঠানো হবে।
ইরানে ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী আইনগতভাবে নারীদের চুল এবং মুখমণ্ডল আবৃত করে হিজাব পরার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
আয়াতোল্লাহ খোমেনি ১৯৭৯ সালের ৭ মার্চ ডিক্রি বা নির্দেশনা জারি করেন। যেখানে নারীকে তাদের কর্মক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে হিজাব পরতে হবে এবং নারীরা মাথা না ঢাকলে তার বিচারে সেইসব নারী ‘নগ্ন’ বলে গণ্য হবে। ওই নির্দেশের প্রতিক্রিয়ায় পরদিনই বিক্ষোভ জানাতে তেহরানের রাস্তায় জড়ো হয়েছিলেন এক লাখেরও বেশি মানুষ, যাদের বেশিরভাগই ছিল নারী।
এরপর ১৯৮১ সালে নারী ও কিশোরীদের ইসলামি রীতি অনুযায়ী আব্রু রক্ষা করার উপযোগী পোশাক পরা আইনত বাধ্যতামূলক করা হয়।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন