আজিজুর রহমান প্রিন্স ঢাকা, বাংলাদেশ: করোনার অযুহাতে দেশে এখন সবকিছুই বন্ধ। কোন কিছুই বন্ধ নয় কিন্তু এড়িয়ে যায় কাজের কথা হলে। ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। মধ্যবিত্তরা ভাল নেই। ভাল আছে সরকারী কর্মচারী আর আমলারা। ভাল আছে ভিখারী আর রিক্সা চালকরা। ঘুষের ব্যবসাটি বন্ধ হয়নি। ভাল আছে ঘুষখোররাও। এখন করোনার কারনে ঘুষের ব্যবসা ভাল যাচ্ছে। স্কুল কলেজ বন্ধ। ভার্চুয়াল ক্লাশ চলে সবখানে। শিশুদের স্কুল বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে বেশী। গ্রাম অঞ্চলে আরও বেশী। লেখাপড়া ছাড়াই ছেলেমেয়েরা বেড়ে উঠছে। শিক্ষার এই শুন্যতা পুরন হবেনা। সংক্রমন এখন তুলনামুলকভাবে কম, মৃত্যুও কম হচ্ছে। সুস্থ্য হচ্ছে অনেকেই। দেশে ট্রাফিক জ্যম কমেনি বেপরোয়া হয়েছে। ঢাকার রাস্তায় বাসের তান্ডবে সব নিয়মই অচল। এ দেশে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন করে পুলিশ হাত তুলে। পুলিশের নির্দেশ থোরাই কেয়ার করে চালকরা। লক ডাউনে বাস সার্ভিস বন্ধ ছিল। তখন কিছুটা নিয়ন্ত্রনে ছিল, এখন আবার পুর্বাবস্থায় ফিরে এসেছে। প্রচন্ড গরমে মানুষ অস্থির হয়ে গেছে। ঘুর্নিঝর ইয়েসের পুর্বাভাস দিলেও ঢাকায় কোন আছর পরেনি। বিদ্যুৎ এখন লোড শেডিং হয়না। মাঝে মাঝে গেলেও বেশীক্ষন স্থায়ী হয়না। বাজারে মাছ সব্জী প্রচুর। মুল্যও নাগালের বাইরে নয়। দেশীয় ফল সয়লাব হয়ে গেছে রাস্তার মোড়ে মোড়ে। আমের মৌসুম এখন। আম কাঠাল উঠেছে বাজারে। বাম্পার ফলন হয়েছিল তরমুছের। কিন্তু রমজানে মানূষ তরমুছ কিনেছে কে জি হিসাবে। মূল্য ছিল অতিরিক্ত। রোজার শেষ দিকে সরকার কে জি হিসাবে তরমুছ বিক্রি নিষিদ্ধ করলে পিছ হিসাবেই বিক্রি হয়েছে বেশী। কিন্তু মুল্য কমেনি। ঢাকার বাজারে এখন খাটি গরুর দুধ পাওয়া যায়। বেশ কয়েকটি এগ্রো ফার্ম সরাসরি গরুর দুধ বিক্রি করে ( খাটি) এবং মুল্যও বেশী নয় ( ৯০) টাকা কেজি। হাস মুরগীর আমদানী প্রচুর। ফার্মের মুরগীর সাথে অন্যান্য জাতের মুরগীও সহজ মুল্যে পাওয়া যায়। ইদানিং ঘরে বসেই বাজার করা যায়। ঠেলা গাড়ীতে করে মাছ, সাক সব্জী ফলমুল ফেরি করে বিক্রি করে। গরুর মাংশ ৬০০ টাকা কেজি। এবার ধানের ফলন হয়েছে ভাল। বাজারে চালের দামও খুব একটা বাড়েনি। অনান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ ভাল আছে। অর্থনীতিতেও খুব বড় রকমের চাপ আসেনি এখনো। উৎপাদন আর রপ্তানীর হিসাব সরকার জানে। লক ডাউনের কারনে ঈদের বাজার ভাল যায়নি ব্যবসায়ীদের। কিন্তু ঈদে আনন্দে কমতি ছিলনা। স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকরে পায়ে হেটেও বাড়ী গেছে। বরাবরের মত এবারও রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দেশে কোন রাজনীতি নেই। রাজনৈতিক কর্মীদের কোন কর্ম নেই। নেতাদেরও কোন কার্যক্রম চোখে পরেনা। দেশে এখন একজনই নেতা- শেখ হাসিনা। জনগনও বলে শেখ হাসিনা ছাড়া সব চোর। জনগনের এমন ভাবনা কেন হল জানিনা তবে নেতারা এখন জনবিচ্ছিন্ন। কোন বিরোধী দলও নেই। বি এন পি নেতাদের কয়েকজন আছেন তারা শুধু সমালোচনাই করেন। সরকারের কোন কিছুই তাদের পছন্দ নয়। হেফাজত ই ইসলামের সব অপকর্ম ধরা পরে গেছে। এখন তারা শ্রিঘরে। জামাত নিরব। তাদের কর্মকান্ড কেউ জানেনা। বি এন পি’ও এখন জামাতের প্রেস্ক্রিপশন আর অর্থে কথা কয়। তৃতীয় ধারার প্রবক্তারা হুঙ্কার দেন মাঝে মাঝে। সরকার পতনের হুশিয়ারিও দেন। বক্তৃতা শেষে নিজেরাই লুকিয়ে যান নিরাপদ আস্তানায়। রাজনীতি এখন ভার্চুয়াল হয়েগেছে। মাঠের রাজনীতি নেই। আন্দোলন করার শক্তি নেই কারও। আশ্রয় পেলে বি এন পি নেতারাও সরকারী দলে আসতে চায়। আর সরকারী দলে দখলদারী চলছে অথর্ব বিত্তবানদের। ভরসা একটাই- শেখ হাসিনা।