ঈশাত জামান মুন্না, লালমনিরহাট প্রতিনিধি : জেলার হাতীবান্ধায় স্ত্রীর মৃত্যুর কারণ জানতে স্বামী হিমাংশু রায়কে আটক করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে থানার পুরাতন একটি রুমে একা রাখা হলে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি পুলিশের।
এদিকে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিমাংশুর গ্রামের এলাকাসহ উপজেলা জুড়ে তুমুল আলোচনা সমালোচনাসহ জনমনে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শুক্রবার সকালে হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন এর পূর্ব কাদমা মালদাপাড়া থেকে ছবিতা রানী (৩০) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার স্বামী হিমাংশু রায়কে মৃত্যুর কারণ জানতে সন্দেহভাজন হিসাবে প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে সন্ধ্যায় পুলিশ হেফাজতে তার স্বামীর মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এরশাদুল আলম বলেন, ওই এলাকার বিশেশ্বর রায়ের পুত্র হিমাংশু রায়ের বাড়িতে তার স্ত্রী ছবিতা রানীর মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধারসহ মৃত্যুর কারণ জানতে ওই নারীর স্বামী হিমাংশু রায়কে সন্দেভাজন হিসেবে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে থানার একটি রুমে রাখা হয়। সেই রুমে হিমাংশু রায় আত্নহত্যার চেষ্টা করেন। টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালে দায়ীত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন, এবং বলেন হাসপাতালে নিয়ে আসার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়েছে।