স্বজনপ্রিতি দেশের রাজনীতির অন্যতম বাধা। সব দলেরই অবস্থা অভিন্ন। এর প্রভাব এখন সর্বত্র। চাকুরি পেতে মামা খালু আর চাচা লাগে। যার কেউ থাকেনা তার অর্থ লাগে। যোগ্যতার মূল্যায়ন হয়না কোনখানেই। বিনিময় ছাড়া কিছুই মিলেনা। দেশের উন্নয়ন হয়েছে যথেষ্ঠ কিন্তু স্বজনপ্রিতির অকল্যান থেকে বেড়িয়ে আসার প্রক্রিয়াটি এখনো উদ্ভাবন করা যায়নি। যোগ্য ব্যক্তিটিকে যোগ্য আসনে বসাতে ব্যর্থ হলে উন্নয়ন করেও সাফল্য ব্যহত হবে। অযোগ্য নেতৃত্ব দেশকে জাতিকে এমনকি সমাজকেও বিপথে ঠেলে দেয়। উন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় অবক্ষয় রোধ করতে এখনোই উদ্যোগ নিতে হবে। ভবিষ্যত প্রজন্মকে সামাজিক মূল্যবোধ শিক্ষার পাশাপাশি যোগ্যতম নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। এটি শুধু বক্তব্যে নয় করে দেখাতে হবে। একজন যোগ্য নাগরিকের অন্যতম প্রধান চরিত্র হল দেশ প্রেম। দেশ প্রেম ছাড়া শিক্ষিত হলেও দেশের কল্যানে নীজেকে যোগ্য প্রমান করতে পারবেনা। বিগত ৫০ বছরে এই অভাব যথার্থভাবে প্রত্যক্ষ করেছে বাংলাদেশ।
বর্তমান সরকার সর্বক্ষেত্রে পরিবর্তনের সুচনা করেছে। ঘুষ, দুর্নীতি আর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এখনই সময় স্বজনপ্রিতিকেও না বলার। পারিবারিক পরিচয় যোগ্যতাকে হার মানিয়েছে সর্বক্ষেত্রে। সরকরকে বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এই অভিষাপ থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। মেধাবী, যোগ্য নেতৃত্ব খুজে বেড় করতে পারলে দেশ বদলে যাবে। এমনটি হলে দেশ এগিয়ে যাবে এবং আর কোন অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবেনা। কিভাবে তা করা যায় তা উদ্ভাবন করার যোগ্য ব্যক্তি দেশে রয়েছে। তবে এর জন্য একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দরকার। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাই পারবেন এমন সিদ্ধান্ত নিতে। এই সাহস আর যোগ্যতা দুটোই তার রয়েছে। বিষয়টি ভাবনার জন্য সনির্বন্ধ নিবেদন জানাই সকলের কাছে।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরোন্টো, কানাডা
১৭ নভেম্বর ২০২০।