প্রায় ১২ ঘণ্টার অভিযান শেষে সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে ইরানের পতাকাবাহী মাছ ধরার নৌকা ‘আল-কাম্বার ৭৮৬’ উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। শুক্রবার আরব সাগরে এই অভিযান চালানো হয়। একই সঙ্গে নৌকাটিতে থাকা ২৩ পাকিস্তানি নাগরিককেও উদ্ধার করা হয়েছে।
নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার আরব সাগরের সোকোত্রা দ্বীপ থেকে ৯০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে এই নৌকাটি অপহরণ করার উদ্দেশ্যে তাতে উঠে পড়ে নয়জন সশস্ত্র জলদস্যু। অপহরণের খবর পেয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর টহলদারি জাহাজ ‘আইএনএস সুমেধা’ শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে সেখানে যায় যুদ্ধজাহাজ ‘আইএনএস ত্রিশূল’।
প্রায় ১২ ঘণ্টার অভিযানের পর দস্যুদের আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা হয় জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, জাহাজের ২৩ পাকিস্তানি নাগরিককেও উদ্ধার করা হয়েছে। আর নৌকাটিকে ভালো করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তা নিরাপদ স্থানে এনে স্বাভাবিক কাজে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এক্স-এ করা এক পোস্টে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী।
গত ২৯ জানুয়ারিতেও সোমালিয়ার জলদস্যুর হাতে অপহৃত ১৯ পাকিস্তানি নাগরিককে উদ্ধার করে ভারতীয় নৌবাহিনী। ইরানের পতাকাবাহী মাছ ধরার জাহাজ এফভি আল নাঈমিতে ১১ জন সশস্ত্র জলদস্যু আক্রমণ করে ১৯ জন ক্রু সদস্যকে জিম্মি করে। তারা সবাই পাকিস্তানি নাগরিক। ভারতীয় নৌবাহিনী মাছ ধরার জাহাজটিকে আটক করে এবং জলদস্যুদের জিম্মিদের ছেড়ে দিতে বাধ্য করে। জলদস্যুদের সবাইকে আটক করা হয়।
বেশ কয়েক বছর পর ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এই দস্যুরা। আরব সাগরে কয়েক মাস ধরেই বিভিন্ন জাহাজ এবং নৌকাকে সোমালি জলদস্যুদের হামলার কবলে পড়তে হয়েছে।
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। চট্টগ্রামের কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজটি বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে আছে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম