কোরবানির জন্য গরুর হাট বসতে শুরু করেছে দেশে। অনেকে গরু কিনে ছবি ফেসবুকে পোষ্ট করেছেন নিজের ছবিসহ। মূল্যটিও লিখতে ভুল করেননি। গরুর গোস্ত খাওয়ার চেয়ে গরু কেনার উৎসবটি এখন প্রতিযোগিতার মত। কিন্তু এই উৎসবে করোনার ভয়াবহতাটি মানা হচ্ছেনা। ইসলাম ধর্মে সমর্থবানদের কোরবানি করা ওয়াজিব তবে আয়ের উৎসটিও ধর্মীয় বিধান মোতাবেক হতে হবে। অবৈধ উপার্জন বা প্রতিযগিতা করে গরু কেনার শিক্ষা ধর্ম অনুমতি দেয়নি। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে বেশী মানূষে জড়ো হওয়া বিপদজনক। গরু কিনতে গিয়ে করোনা কিনে বাড়ী ফেরার সংকাটি কমনা! এখন আগের মত গোস্ত খাওয়ার জন্য কোরবানি করেনা, গরীব যারা গোস্ত সংগ্রহ করে তারাও কমই খায়। বিক্রি করে দেয় বাজারে। গোস্ত খেয়ে সংক্রমন বাড়ালে দায়ী হবে সরকারই। ঢাকায় গরুর হাটের অনুমতি দেওয়া হবেনা বলা হলেও মহল্লার অলি গলিতে হাট বসতে শুরু করেছে। বর্জ্য সরানোর ব্যবস্থা না রেখে ঘনবসতি এলাকায় এমন গরুর হাট বসানোর পেছনের শক্তিটি কারা? এরাওকি সাহেদের মত অনুমতি ছাড়াই অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে? পেছনের অদৃশ্য শক্তি চিহ্নিত করা জরুরী। অপরাধী ধরা খেলে সবাই পিছু নেয় খবরের জন্য, এই কাজটা আগে করলে বিপদ এড়ানো সম্ভব। হয়ত গরুর হাটের নৈরাজ্য নিয়েও সংবাদ হবে ঈদের পর পরই, দায়ী হবে সরকার। বন্যা পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ি হবে বলে অনুমান করছেন বিজ্ঞজনেরা। পানির প্রবাহ আর নদীর অব্যবস্থাপনা নিয়ে চলছে আলোচনা এখন। বন্যা শেষ হলে অব্যবস্থাপনাটিও আগের অবস্থানে ফিরে যাবে। আলোচনার পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবেলার স্থায়ী সমাধান আলোচিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হত। বন্যা শেষ হলে এই বিশ্লেষনটিও থেমে যাবে। পরবর্তি বন্যার আগে এই আলোচনা হারিয়ে যাবে। দায়িত্বটি কার? অনিয়ম নিয়ে রাজনীতি সরব এখন। সাহেদ, সাব্রিনারাই আলোচনার শীর্ষে। নতুন কোন বিষয় এলে সাহেদ, সাব্রিনাদের কাহিনিও শোনা যাবেনা আর। সরকারকে দায়ী করার রাজনৈতিক কৌশলটিও পুরাতন, নতুন কোন ভাবনা উদ্ভাবন করা যায়না? দেশকে সুস্থ্য ধারায় পরিচালিত করার কৌশল কারো মস্তিষ্কে উদয় হয়না? তেমনটি হলে দেশ যেমন সমৃদ্ধ হত, দেশের মানূষও উন্নত জীবন উপভোগ করতে পারত। এবং এটাই ছিল স্বাধীনতার মূল মন্ত্র। দেশ বা দেশের সাধারন মানূষ ভুল করেনা, ভুল করে ভুল রাজনীতি। রাজনৈতিক সংঘাতেই দেশ পিছিয়ে যায় আর, দুর্নীতি বাসা বাধে রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে। সময় এসেছে সুস্থ্য ধারার রাজনীতি করার নাহয়, জনগনই বাধ্য করবে রাজনীতির পথ নির্মানের।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
রাজনীতিবিদ, লেখক ও গবেষক
টরেন্টো, কানাডা
কানাডা ২৬ জুলাই ২০২০।