প্রকাশিত হয়েছে নতুন প্রজন্মের জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। এ নিয়ে সুশান্তের দুইবার ময়নাতদন্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তিন চিকিৎসকের স্বাক্ষর ছিল প্রথমবারের রিপোর্টে। দ্বিতীয়বারের রিপোর্টে পাঁচ চিকিৎসকের স্বাক্ষর দেখা গেছে। খবর-সংবাদ প্রতিদিন।
রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, গলায় ফাঁস লাগায় দমবন্ধ হয়ে সুশান্তের মৃত্যু হয়েছে। একবার ময়নাতদন্তের পর তার ভিসেরা সংরক্ষণ করে তা রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। এবার চূড়ান্ত রিপোর্টে পাঁচজন চিকিৎসক স্বাক্ষর করেছেন। সুশান্তের ফরেনসিক পরীক্ষার রিপোর্ট তাড়াতাড়ি দিতে ফরেন্সিক বিভাগে একটি চিঠিও পাঠিয়েছে পুলিশ।
রিপোর্টে আরো বিশ্লেষণ করে বলা হয়, সুশান্তের শরীরে কোনো লড়াইয়ের চিহ্ন বা বাহ্যিক কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তার নখ পরিষ্কার ছিল।
রিপোর্ট অনুযায়ী আত্মহত্যার ঘটনাটি স্পষ্ট। এ মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনো কারণ পাওয়া যায়নি। সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের মৃত্যুর কারণের সঙ্গে সুশান্তের মৃত্যুর কোনো প্রমাণ মেলেনি।
সুশান্তের মৃত্যুর মামলায় এখনো ২৩ জনের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। সুশান্ত সিং রাজপুতের চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট সঞ্জয় শ্রীধর এই ২৩তম ব্যক্তি। এছাড়া সুশান্তের বাবা, তিন বোন, বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি, ক্রিয়েটিভ কন্টেন্ট ম্যানেজার, রাঁধুনি, পরিচারক, চাবিওয়ালা, সুশান্তের বিজনেস ম্যানেজার, তার পিআর ম্যানেজার, সুশান্তের প্রথম সিরিয়ালের পরিচালক, বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী, মুকেশ ছাবরার বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে।
১৪ জুন মুম্বাইয়ের ফ্ল্যাট থেকে অভিনেতা সুশান্তের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়। মৃত্যুর কয়েক দিন আগে থেকেই বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন সুশান্ত।