ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে প্রকাশ্যে রাজনীতির সুযোগ খুঁজছে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ সংগঠনগুলো। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল করেছে ধর্মভিত্তিক সংগঠন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন। পোস্টার লাগিয়ে নিজেদের জানান দিয়েছে জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন ‘জাতীয় ছাত্র সমাজ’। নির্বাচনে এ সংগঠনগুলোকে সুযোগ দেয়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে আছে বিভক্ত মত। তবে নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের।
ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় দেখা মিলছে জাতীয় ছাত্র সমাজের পোস্টার। যদিও অধিকাংশ পোস্টারই ছেড়া। ছাত্র সমাজ, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ পরিষদের মাধ্যমে সংগঠনটি ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ। যদিও নেতাদের দাবি নিষেধাজ্ঞার কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। ফলে ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে চায় তারা।
পরিবেশ পরিষদের মাধ্যমে ধর্মভিত্তিক দলগুলো ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ হলেও, সম্প্রতি ক্যাম্পাসে মিছিল করেন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। ক্রিয়াশীল সংগঠনগুলো এর প্রতিবাদ জানালেও, ছাত্র সংগঠনটির দাবি, ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে তাদের বাধা নেই।
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিতে আমাদেরকে যে নিষিদ্ধ করবে সেটার কোন ভিত্তি নাই।
তবে ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন ক্রিয়াশীল সংগঠন বলছে নিষিদ্ধ দলগুলোকে প্রতিহত করবেন তারা। ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন, ‘ছাত্রসমাজকে সেসময় নিষিদ্ধ ঘোষিত করা হয়েছে। যেহেতু নিষিদ্ধ ঘোষিত করা হয়েছে সুতরাং তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।’ প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, ‘যেকোনো ছাত্রই বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনে ভোট দিতে পারে। ছাত্রদের উপর তো কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।’
নির্বাচন সামনে রেখে নিষিদ্ধ সংগঠন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জোরালো ভূমিকা রাখার দাবি জানিয়েছে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো।