মোঃ সদরুল কাদির (শাওন):: সুন্দরবনের নদীতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকারের খবর পাওয়া গেছে। নদীতে বিষ প্রয়োগের ফলে মারা যাচ্ছে মাছের সাথে অন্যান্য জলজপ্রাণিও। দূষিত হচ্ছে বন ও জলজ পরিবেশ। এলাকাবাসি জানায়, পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে নদী-খালে জেলেরা বন বিভাগ হতে সাদা মাছ ধরার অনুমতি নিয়ে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকারে মেতে উঠেছে একটি বিশেষ মহল।
বন বিভাগ, কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের পক্ষ থেকে অসাধু জেলেদের মৌখিকভাবে সতর্ক করা হলেও বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার বন্ধ করেনি জেলেরা। মুন্সিগঞ্জ সেন্ট্রাল কালিনগর গ্রামে জেলে আব্দুল করিম, দক্ষিণ কদমতলা গ্রামে মহব্বত আলী ও দাতিনাখালি গ্রামে শমসের আলী সুন্দরবন থেকে ফিরে এসে জানায়, সুন্দরবনে সুবদে, গুবদে, চালিতাবাড়িয়া, হাতিভাঙ্গা ও মালঞ্চ নদীসহ বিভিন্ন নদী-খালে ও ঝরায় জেলেরা চুরি করে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করছে।
এতে বড় মাছের পাশাপাশি সব ধরনের রেনু পোনা ও বিভিন্ন জাতের জলজ প্রাণি ধ্বংস হচ্ছে। নদীতে মাছ সংকট দেখা দিয়েছে। নদীতে মাছ সংকটের ফলে সুন্দরবন নির্ভরশীল মৎস্যজীবিরা পড়েছে বিপাকে।
বুড়িগোয়ালিনী নৌ-থানা পুলিশের ইনচার্জ (এসআই) অনিমেশ হালদার নদীতে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকারের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অসাধু জেলেদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সাতক্ষীরা সহকারি রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) রফিক আহমেদ জানান, বন বিভাগের পক্ষ হতে নদীতে টহল জোরদার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দোষী জেলেদের সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতি বন্ধ করা হয়েছে।
এদিকে গত সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরের দিকে সুন্দরবনে ১০ হাজার মিটার নিষিদ্ধ জাল আটকের খবর দিয়েছে বন বিভাগ। বন বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ি, পশ্চিম সুন্দরবনে নদীতে ব্যবহার নিষিদ্ধ জাল আটক করেছেন আংটিহারা কোস্টগার্ড সদস্যরা। আংটিহারা কোস্টগার্ড পেটি অফিসার (পিও) রুহুল আমিন সত্যতা নিশ্চিত করেন।