ইসলামের প্রধান ধর্মীয়গ্রন্থ পবিত্র কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে সুইডেনের দক্ষিণাঞ্চল তৃতীয় বৃহত্তম শহর মালমো শহরে বিক্ষোভ হয়।কোরান পোড়ানোর ঘটনার জেরে শহরের ক্ষুব্ধ মুসলিমরা সহিংস বিক্ষোভ করেছে। রাতে এই বিক্ষোভের সময় কিছু তরুণ গাড়িতে আগুন দেয় এবং পুলিশের দিকে ইট পাটকেল ছোঁড়ে।
পুলিশ জানায় প্রায় ৩ শ’র বেশি তরুণ বিক্ষোভে অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। মালমোর অভিবাসী অধ্যুষিত রোজেনগার্ড শহরতলীতে কোরান পোড়ানোর এই ঘটনা ঘটে।
ডেনমার্কের কট্টর দক্ষিণপন্থী রাজনীতিক রাসমুস পালাদুন কোরআন পোড়ানোর ঐ ঘটনায় অংশ নিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সুইডিশ পুলিশ তাকে ঢুকতে দেয়নি। তবে তার সমর্থকরা এরপরও কোরআন পোড়ানোর এই ঘটনায় অংশ নেয়।
রাসমুস পালাদুন কট্টর দক্ষিণপন্থী স্ট্রাম কুর্স দলের নেতা। ডেনমার্কে বর্ণবাদ এবং অন্যান্য অপরাধে তাকে এক মাসের জেল দেয়া হয়েছিল। তার দলের সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলে ইসলাম বিরোধী ভিডিও পোস্ট করার অভিযোগে তার সাজা হয়।
সুইডেনের মালমোতে বসবাস করেন বাংলাদেশী সাংবাদিক তাসনীম খলিল। তার সঙ্গে কথা বলেন বিবিসি বাংলার সাংবাদিক শাকিল আনোয়ার। তাসনীম খলিল জানান, রাসমুস পালাদুনের অনুসারীরাই কোরআন পুড়িয়েছে বলে ধারণা করা যায়।
তিনি জানান,একটি সাইকেল চালানোর রাস্তায় গোপনে এরা কোরআন পুড়িয়েছে। এই ঘটনাটি তারা নিজেরাই ভিডিও করেছে। এরপর তারা এটি একটি ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে। পুলিশ এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
তিনি বলেন, যারা এই কাজ করেছে, তারা এজন্যে একটি হাস্যকর যুক্তি দিচ্ছে। তারা বলছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য তারা এই কাজ করছে। অথচ সুইডেনের আইন অনুযায়ী এটা বেআইনি, কারণ এর মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষের প্রতি ঘৃণার প্রকাশ ঘটানো হচ্ছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের সূত্র মতে, মালমোর কোরআন পোড়ানোর স্থানটিতে ক্রমান্বয়ে বিক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত শুক্রবার মালামোতে ইসলামবিরোধী অনেক দল কোরআন অবমাননার জন্য সমবেত হয়েছিল। জনসম্মুখে তাঁরা কোরআনের কপিতে পদাঘাত করেছিল।
গতবছর ডানপন্থী নেতা রাসমুস পালাদুন কোরআন পুড়িয়ে মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। শূকরের মাংসে আবৃত কোরআনের একটি কপি নিয়ে বলেন, এ খাদ্য যা মুসলিমদের জন্য অভিশাপ বয়ে আনছে। সূত্র : বিবিসি, ডব্লিওআইও নিউজ।