নীলফামারী জেলার চিলাহাটির সীমান্তবর্তী বিওপি বাজারে রাতের আধারে মরা গরুর মাংস বিক্রি কালে স্থানীয় জনতা হাতেনাতে ধরে ফেলে। গত রবিবার রাতে ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের বিওপি বাজারে এ ঘটনাটি ঘটে।
আটককারী বিক্ষুব্ধ জনতারা জানান- রবিবার সকালে পার্শ্ববতী খলিলের ছেলে মমিনুলের গোয়াল ঘরে একটি গরু মারা যায়। এই সংবাদ পেয়ে বিওপি বাজারের মাংস ব্যবসায়ী লেবু মিয়া তার সাঙ্গোপাঙ্গদের নিয়ে মমিনুলের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি গোপন রাখতে বলে। ওই দিনেই সন্ধ্যার পর লেবু তার লোকজনদের নিয়ে মমিনুলের গোয়াল ঘর থেকে মৃত গরুর মাংস নিয়ে এসে বিওপি বাজারে বিক্রি শুরু করে।
রাতের আঁধারে গরুর মাংস বিক্রি করতে দেখে উৎফুল্ল জনতা ওই মাংস দোকানের কাছে ভিড় জমায়। এ সময় বিক্রিকৃত মাংসের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে নানা আলোচনায় সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। এক পর্যায়ে ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের ইউ,পি সদস্য আব্দুল খালেক, আমিনার রহমান, কামাল হোসেন ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মায়া বেগমের সহযোগিতায় গরুর মালিক মমিনুলকে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে আসা হয়। মমিনুল বিওপি বাজারের উৎপন্ন জনতার সামনে স্বীকার করেন তার গরুটি মৃত। মাংস ব্যবসায়ী লেবু আমাকে লালসা দেখিয়ে ওই গরুর মাংস কেটে নিয়ে আসে।
সংবাদ পেয়ে ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম কালু ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্গন্ধহীন মাংস গুলি ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসতে চাইলে উপস্থিত জনতারা বিক্ষোভ করতে থাকে। চেয়ারম্যানের এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি প্রতিবাদকারীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ডোমার থানার ওসি কে বিষয়টি অবগত করেন। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান প্রতিবাদকারী জনতাকে এই ঘটনা সাথে জড়িতদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে মাংস গুলি মুক্তিরহাট বাজারে পুকুরের ধারে পুতে ফেলে।
মাংস ব্যবসায়ী লেবু মিয়া ও গরুর মালিক মমিনুল ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকায় তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম কালু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ডোমার থানার ওসির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন- মাংস ব্যবসায়ী লেবু ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নে আর কোনদিন মাংস বিক্রি করতে পারবেনা। এই ঘটনার জন্য তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৫:৩৩ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি