মো.আমিন আহমেদ, সিলেট : সিলেট নগরীর কাস্টঘর সুইপার কলোনীতে দেদারসে চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। ব্যাপারটা এমন দাড়িয়েছে যেন মাদক বন্দরের কাঁচাবাজারের শাকসবজি, বিক্রি করতে কোন বাঁধা নেই। আর এ ক্ষেত্রে অগ্রনী ভূমিকা রাখছে সিলেট প্রশাসনের সোর্স পরিচয়কারী মাদক ব্যবসায়ী মিজান। শুধু কি মাদক বিক্রি? মাদক ব্যবসায়ীদের মদদ দাতা, ত্রানকর্তা হিসেবে সেল্টার দিয়ে সোর্স মিজান হয়ে উঠেছে তাদের মধ্যমণি।
জানা গেছে, নগরীর কাস্টঘরে রয়েছে মিজানের বিশাল বড় আস্তানা যা আন্ডারগ্রাউন্ড “ভাঙ্গাঘর” নামে পরিচিত। সাধারন মানুষ মাদক ব্যবসায়ী মিজানের বিরুদ্ধে যদি কেউ প্রতিবাদ করে তবে তাকে পরতে হয় বিভিন্ন হামলা-মামলা আর হুমকির মুখে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাস্টঘর সুইপার কলোনির অনেকেই জানিয়েছেন, মিজান সবসময়ই নিজেকে প্রশাসনের সোর্স পরিচয় দিয়ে আসছে। আর এই সূত্রে কাস্টঘর সুইপার কলোনী থেকে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে নিয়মিত সাপ্তাহিক চাঁদাও তুলে নেয় মিজান। আর র্যাব ও ডিবি পুলিশ লাগাতার অভিযান পরিচালনা করার পরও কাস্টঘরে থামছে না মাদক ব্যবসা।
এদিকে, সম্প্রতি রাধাঁ রাণী নামের একজন মহিলা মাদক ব্যবসায়ীকে কাস্টঘর থেকে গ্রেফতার করছে র্যাব-৯ সিলেটের একটি দল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, এক মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে মিজান বলেন রাদা রানীকে র্যাবের কাছ থেকে ছাড়িয়ে দিবে তারপর ২,৫০,০০০টাকা নেয় মিজান র্যাবের কথা বলে। কিন্তু বিধি বাম। এখনো হাজতে রাধাঁ রানী। আর এখন মিজানের কাছে ওই টাকা চাইলে নানা ধরনের টালবাহানা শুরু করেছে সোর্স পরিচয় দেওয়া মিজান।
এ ব্যাপারে র্যাব-৯ এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আবু মুছা মো শরিফুল ইসলাম’র সাথে যোগাযোগ করলে উনি জানান, আমাদের এরকম কোন সোর্স নেই, আর যদি র্যাবের কথা বলে কেউ কোন ধরনের খারাপ কার্যকালাপে লিপ্ত হয় তবে আমরা তার প্রতি আইননানুগ ব্যাবস্থা নিব।
চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী- (১)পাপ্পু লাল (২) পান্নু লাল (৩) শান্তি রানী (৪)বাঘা লালসহ আরো নাম না জানা অনেক মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে রয়েছে মিজানের ২৪/৭ হটলাইন। এছাড়া মিজানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা ও রয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে এ ব্যাপারে মিজানের সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করার চেস্টা করলে কল রিসিভ করেন নি তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সু্ত্রে জানা যায়, দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকায় সুইপার কলোনীতে মাদক বেচা কেনা, মাদক সেবন কেন্দ্রসহ শিলং তীরের ব্যবসা (একধরণের জুয়া খেলা) ইত্যাদি নানান ধরনের অপরাধে সাথে জড়িত রয়েছে মিজান। মিজান এখন এসব কিছুতে নিজেকে নিবেদিত করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। এখনি সময় প্রশাসনের নজরে বিষয়টি এনে খুঁজে বের করা উচিত কে এই প্রশাসনের সোর্স পরিচয়কারী মিজান? কি তার সত্যিকারের পরিচয়?
উল্লেখ্য, সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ মোশারফের ভাই হলেন প্রশাসনের সোর্স পরিচয়কারী মিজান। গত ২০০৫/২০০৬ সালে র্যাবের সাথে বন্ধুক যুদ্ধে মারা যায় মোশাররফ। তার পর থেকে বেপোরয়া হয়ে উঠেছে সোর্স পরিচয়কারী মিজান।