গণমাধ্যমে প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন- সিলেট মশার অত্যাচার দিন দিন বাড়ছে। এ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। জনজীবনে অন্যান্য সমস্যার মধ্যে এটিও এখন একটি মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে যেভাবে মশার উপদ্রব দেখা যাচ্ছে, তা বিগত কয়েক বছরে দেখা যায়নি। মশার জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন।
তিনি বলেন, মশা নিধনের জন্য প্রতি বছর সিটি কর্পোরেশনের বিরাট অঙ্কের টাকা বরাদ্দ থাকে। সিটি কর্পোরেশনের অধীনে মশা নিধনের জন্য বেতনভুক্ত কর্মচারীও রয়েছে অনেক। এরপরও যদি মানুষ মশার অত্যাচার থেকে রক্ষা না পায়, তবে তা উদ্বেগের বিষয় বৈকি।
তিনি আরো বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশন একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা এই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কাজ। কিন্তু ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার পরিবর্তে অন্যান্য কাজ নিয়ে ব্যতিব্যস্ত রয়েছে। শীত মৌসুমে অধিকাংশ নালা নর্দমা একবারও পরিষ্কার না করায় সেগুলো আবর্জনায় ভরাট হয়ে গেলেও অপসারণ করা হয়নি। কয়েকদিন আগে নগরীতে বৃষ্টি হওয়ায় এসব স্থানে পানি জমে মশার প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। যে কারণে এখনই পদক্ষেপ না নিলে মশার উপদ্রব আরো ভয়াবহ পর্যায়ে চলে যাবে।
বিবৃতিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়ে সিসিক কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় হতাশা ব্যক্ত করে অনতিবিলম্বে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মশা নিধন কার্যক্রম শুরু ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান।