মো আমিন আহমেদ, সিলেটঃ সিলেটের সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতীয় চোরাচালান কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না। একটি চক্রের নেতৃত্বে চোরাকারবারীরা বেপরোয়া ভাবে ভারতীয় চোরাচালান দেশে নিয়ে আসছে। এই চোরাকারবারীদের কাছ থেকে নিয়মিত টাকা আদায় করেন বিভিন্ন পুলিশের সোর্স। ফলে চোরাকারবারীরা সীমান্ত এলাকায় আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সিলেটের জৈন্তাপুর ও জাফলং সীমান্ত এলাকা দিয়ে এ সকল চোরাচালান করা হচ্ছে।
অবশেষে গত বৃহস্পতিবার ভোরে জৈন্তাপুরে চোরাচালান বিরোধী অভিযানে একটি ডিআই পিকাপ সহ দশ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাচালান পন্য আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম এর নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখা (উত্তর) এর অফিসার ইনচার্জ সাইফুল আলম এর নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার দিবাগত ভোর পাঁচ ঘটিকার সময় জৈন্তাপুর থানাধীন হরিপুর লামা শ্যামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিলেট মেট্রো -ন- ১১-০৭৫৫ ডিআই পিকাপ সহ চোরাচালানের মাধ্যমে আসা বিপুল পরিমান ভারতীয় পন্য আটক করেছে পুলিশ।
এসময় চোরাচালানের সাথে জড়িত তিনজন আসামী পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত চোরাচালান পন্যের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় কসমেটিক্স,জুতা,কাপড় সহ বিভিন্ন পন্য। উদ্ধারকৃত চোরাচালান পন্যের আনুমানিক বাজার মূল্য দশ লক্ষাধিক টাকা, এছাড়াও জব্দকৃত পিকাপের মূল্য আনুমানিক এগার লক্ষ টাকা।
জাফলং সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান পন্য ভর্তি পিকাপ সিলেট শহরে আসার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বৃহ্স্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে অফিসার ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা (উত্তর) সাইফুল আলম এর নেতৃত্বে জৈন্তাপুর থানাধীন শুক্রবাড়ি বাজারে চেকপোস্ট পরিচালানাকালে ডিবি পুলিশের উপস্থিতি দেখে চোরাচালানে জড়িত আসামীগন দ্রুত পিকাপ গাড়ি বিপরীত দিকে ঘুরিয়ে দ্রুত গতিতে হরিপুর বাজারের ভিতর দিয়ে লামা শ্যামপুর এলাকায় যেতে থাকে। সাথে সাথে ডিবি পুলিশের টিম চোরাকারবারিদের পিছু নেয়। এক পর্যায়ে চোরাকারবারিরা লামা শ্যামপুর মাদ্রাসার মাঠে পিকাপ রেখে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ উপস্থিত লোকজনের সামনে পিকাপে থাকা চোরাচালান পন্য সমুহ উদ্ধার করে জব্দ করে।
এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা শাখা (উত্তর) এর এসআই সুজিত চক্রবর্তী বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও মিডিয়া) মো: লুৎফর রহমান জানান, পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনায় সিলেট জেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাচালান বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ভোর রাতে দশ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাচালান পন্য সহ পিকাপ জব্দ করেছে ডিবি। এ ঘটনায় জড়িত পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে ডিবি।