সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুরে পুরোনো গ্যাসকূপ (সিলেট-৭) সংস্কার করতে গিয়ে সম্প্রতি নতুন করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। সব ঠিক থাকলে ওই কূপ থেকে আজ জাতীয় গ্রিডে সাড়ে আট মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মিজানুর রহমান বলেন, ৭ নম্বর কূপ থেকে আজ নতুন করে আরও সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে যাচ্ছে।
আজ দুপুরের পর আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন হবে। এতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব এবং পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
এর আগে, গত ২২ অক্টোবর সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুরে পুরোনো গ্যাসকূপ (সিলেট-৭) সংস্কার করতে গিয়ে এই গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে দুই দফায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এক হাজার ২০০ মিটার গভীরে গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পুরাতন গ্যাসকূপ সিলেট-৭ নম্বরে জুলাই মাস থেকে অনুসন্ধান চলে। গত ১৪ অক্টোবর কূপের ২০১০ মিটার গভীরে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান মেলে।
এরপর ২২ অক্টোবর ওই কূপের ১২০০ মিটার গভীরে আরও সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এই টেস্ট হিসেবে এক সপ্তাহ গ্যাস উত্তোলন করা হয়। পরবর্তীতে ওই কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুত করা হয়। প্রতিদিন সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাবে বলেও জানান কর্মকর্তারা।
সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য মতে, ১৯৮৬ সালে জৈন্তাপুরের হরিপুর সিলেট-৭ নম্বর কূপে তেল উত্তোলন শুরু হয়। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেল উত্তোলন করা হয়। এরপর তেল উত্তোলন বন্ধ হয়ে গেলে ওই কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হয়।
এবার পুরোনো কূপে দুটি লেয়ারে গ্যাসের সন্ধান মেলে। সিলেট থেকে এ পর্যন্ত জাতীয় গ্রিডে ১৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়ে আসছিল। এখন সেটি আরও বাড়ছে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম