প্যালেস্টাইন এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধের মাঝেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে শুরু হয়েছে সংঘর্ষ। বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, মার্কিন সেনাদের ওপর হামলার জবাবে মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলো বুধবার সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ইরান-সংশ্লিষ্ট একটি অস্ত্র মজুদ স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এই নিয়ে গত দুই সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো সিরিয়ার ওপর হামলা চালাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ‘দুটি মার্কিন এফ-১৫ বিমান একটি অস্ত্র মজুদ স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।’
লয়েড অস্টিন বিবৃতি আরো বলেছেন, মার্কিন নাগরিক, সেনা জওয়ান এবং মার্কিন প্রয়োজন রক্ষা করা প্রেসিডেন্টের সবচেয়ে বড় কর্তব্য। সেই কর্তব্যবোধ থেকেই এদিন সিরিয়ায় আক্রমণ চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
পেন্টাগনের দাবি, ওই এলাকায় ইরানি জঙ্গি গোষ্ঠীর একটি ঘাঁটি ছিল। যেখান থেকে সিরিয়া এবং ইরাকে সন্ত্রাসীদের অস্ত্র এবং গোলা-বারুদ সরবরাহ করা হতো।
জানা গেছে, বুধবার এই হামলায় ইরানে প্রাণ হারিয়েছে ৯ জন। মার্কিন হামলা আটকাতে ইরান প্রায় আড়াই হাজার এবং সিরিয়ায় প্রায় ৯০০ মার্কিন সেনা মোতায়েন করেছে।
গত অক্টোবরে আমেরিকা এবং যৌথবাহিনী ইরাক এবং সিরিয়ায় অন্তত ৪০ বার আক্রমণ চালিয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে। আমেরিকার বক্তব্য, প্রতিটি আক্রমণই চালানো হয়েছে ইরানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনের ঘাঁটি লক্ষ্য করে।
বিমান বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পিট রাইডার বলেছেন, ১৭ অক্টোবর থেকে ইরানে মার্কিন সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে কমপক্ষে ১২ টি এবং সিরিয়ায় চারটি হামলা হয়েছে। দুটি হামলায় ২১ জন আমেরিকান আহত হয়েছেন।
আমেরিকার এই হামলার নিয়ে ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণ বন্ধ না হলে আমেরিকাও এই আগুন থেকে বাঁচতে পারবে না। গাজায় গণহত্যার জন্য ইরান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ি করেছে। ইরানের বিদেশমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরেই ইরানের ওপর হামলা চালানো শুরু করে দিয়েছে আমেরিকা।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১০:১৭ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/এমআরবি