সিরাজগঞ্জে সলঙ্গায় পর্ণোগ্রাফি মামলার এজহার নামীয় আসামী আঃ রহিম ও মোত্তাকিম কে আটক করেছে র্যাব ১২ এর অভিযানিক দলের সদস্যরা। (৯ জুলাই) রাত ২ টার সময় সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার দত্তকুশা উত্তরপাড়া গ্রামের মের্সাস তন্ময় ব্রিকস্ ফিল্ড এর ভিতর হতে তাদের কে আটক করা হয়।
৯ জুলাই দুপুর ২ টার সময়, গনমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব ১২ এর কোম্পানী কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আবুল হাশেম সবুজ জানান, আটক আসামী আঃ রহিম ও মোত্তাকিম মিলে ভিকটিম মরিয়ম আক্তার (২২) কে অনেক দিন যাবৎ বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছিল। তারা ভিকটিমকে যখন তখন কু-প্রস্তাব দিতে থাকত এবং তাদের কথায় রাজি না হলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিত। পরবর্তীতে তারা সুযোগ বুঝে ভিকটিমের অর্ধলগ্ন ছবি ও ধর্ষণের চেষ্টার দৃশ্যের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে। মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজের জের ধরে ভিকটিমকে ২০,০০০ টাকা এবং শারিরিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দেয়। ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন প্রকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং তাদের অন্যান্য বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার হুমকি দিলে ভিকটিম বাদী হয়ে সলঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
এ ঘটনায় আসামীদের আটকরে জন্য পুলিশের পাশাপশি গোয়েন্দা ততপরতা চালায় র্যাব। তার ধারাবাহিকতায় ৯ জুলাই রাত ২.১০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, র্যাব ১২ এর অধিনায়ক মারুফ হোসেন এর নির্দেশনায় র্যার ১২’র স্পেশাল কোম্পানীর আভিযানিক দল, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার দত্তকুশা উত্তরপাড়া গ্রামের মের্সাস তন্ময় ব্রিকস্ ফিল্ড এর ভিতর হতে পর্ণোগ্রাফি মামলার এজাহারনামীয় আসামী সলঙ্গা থানার নলকা ইপির দত্তকুশা গ্রামের মোঃ আব্দুল মজিদের ছেলে মোস্তাকিন হোসেন (১৯) এবং আব্দুল হানিফ আকন্দের ছেলে আব্দুর রহিম (১৯) কে আটক করেছে।
তিনি আরো বলেন,আটক আসামীদের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার মামলা নং-১৫ তারিখ-০৯/০৭/২০২৩, ধারাঃ ৯(৪) (খ) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন,সংশোধনী ২০০৩;তৎসহ ৮(১)/৮(২)/৮(৩) পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ ধারায় মামলা দায়ের করে তাদের সলঙ্গা থানায় হস্থান্তর করা হয়েছে।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি