আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই)থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় ১১.২৫ মিনিটে মারা গেছেন। (ইন্নালিল্লিহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তার ভাতিজা অ্যাডভোকেট আনিস।
৭৭ বছর বয়সী সাহারা খাতুন জ্বর, অ্যালার্জির সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতা নিয়ে গত ৩ জুন রাতে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।
এর আগে দীর্ঘদিন অসুস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনকে উন্নত চিকিসার জন্য থাইল্যান্ডে নেওয়া হয়ে। ভর্তি করা হয় বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে।
গত সোমবার (৬ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স তাকে নিয়ে থাইল্যান্ডের ব্যাংককের উদ্দেশে রওয়ানা হয়। বিকেল ৪টার দিকে সেখানে তাকে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
১৯৪৩ সালের ১ মার্চ ঢাকার কুর্মিটোলায় জন্মগ্রহণ করেন সাহারা খাতুন। তার বাবার নাম আব্দুল আজিজ ও মাতার নাম টুরজান নেসা। সাহারা খাতুন তিন মেয়াদ ধরে ঢাকা-১৮ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত সংসদ সদস্য।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০০৮ এর নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৮ হতে নির্বাচিত হয়েছিলেন। নির্বাচনে বিজয় লাভ করার পর তিনি বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হন। পরে ২০১২ সালে মন্ত্রণালয়ের রদবদল ঘটলে তিনি বাংলাদেশ সরকার এর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, সাহারা খাতুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে একজন আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক মহিলা আইনজীবী সমিতি ও আন্তর্জাতিক মহিলা জোটের সদস্য ছিলেন।