সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও একাদশ সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৪ জুলাই) বাদ জোহর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট কেন্দ্রীয় মসজিদে জাপা চেয়ারম্যানের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজা শেষে এইচ এম এরশাদের মরদেহ সম্মলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমঘরে নেওয়া হবে।
এর আগে, আজ সকাল পৌনে আটটার দিকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
গত ২৬ জুন থেকে তিনি রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার মৃত্যুর খবর শুনে এরই মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছেছেন তার পরিবারের সদস্য ও দলীয় নেতাকর্মীরা।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় মসজিদে। এর পর পর্যায়ক্রমে সংসদের দক্ষিণ প্লাজা, বায়তুল মোকাররম মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এর পর হেলিকপ্টারযোগে মরদেহ রংপুরে নেয়া হবে। সেখানে চতুর্থ জানাজা শেষে এরশাদকে ঢাকায় এনে সেনাবাহিনী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
দশম জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল ছিল তার নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি। একাদশ জাতীয় সংসদেও জাতীয় পার্টি প্রধান বিরোধী দলের আসনে। দশম জাতীয় সংসদে এরশাদ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের পদমর্যাদায় ছিলেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা সর্বসম্মতভাবে তাকে বিরোধীদলীয় নেতার পদে বসান।
