কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর সাপাহার উপজেলার সদর এক নম্বর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে ০২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রভাবশালী শাহিন হোসেন মেম্বারের হুকুমে ৪ বিঘা পুকুর খননের কারনে সাপাহার হতে জবাইবিলের সংযোগ উপজেলা এলজিআরডির নব-নির্মানকৃত আঞ্চলিক সড়কের রাস্তায় অবৈধ ট্রাক্টরের বেপরোয়া গতি ও কাঁদা মাটিতে চলাচলে বেহাল দশা। আর এসব ট্রাক্টর চালাচ্ছে অদক্ষ চালকরা। এতে করে এ জেলায় প্রায়ই ঘটছে প্রাণহানি ও অঙ্গহানিসহ মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা। এই রাস্তাগুলোতে রীতিমত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে কমলমতি স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষকেও।
জানা যায়, উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি আম বাগান ও ইট ভাটায় মাটি বহন করতে এসব ট্রাক্টর ব্যবহার করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। শুধু সাপাহার ইউনিয়ন নয় এসব ট্রাক্টর গ্রামীণসড়কে যেমন অবিরত চলাচল করছে তেমনি মহাসড়কের উপর দিয়ে সমানতালে চলছে। এতে দুর্ঘটনার হার দিনকে দিন বেড়েই চলছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তাগুলোতে দিনরাত ২৪ ঘন্টা কাঁদামাটি বোঝাই ট্রাক্টর চলাচল করায় রাস্তাগুলোর অবস্থা অত্যন্ত করুণ অবস্থায় পৌঁছেছে। বর্তমানে ওইসব রাস্তায় পায়ে হেঁটে চলাও কঠিন হয়ে পড়েছে। এ কারনে রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। রাস্তাগুলোতে চলাচলকারীদের মনে সবসময় অজানা এক আতংক বিরাজ করে, কখন যেন দুর্ঘটনার শিকার হন। এছাড়া টাক্টরের বিকট শব্দে শব্দ দূষণে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই। এক সাথে ৪-৫টি ট্রাক্টর চললে রাস্তাগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীসহ পথচারীরা।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কয়েক‘শ ট্রাক্টরের মাঝে বেশির ভাগই সরকারি রেজিস্ট্রেশন বা অনুমোদন ছাড়া। কিন্তু রহস্যজনক কারণে প্রশাসন এর বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
আশড়ন্দ এলাকার হবিবর আলী মন্ডল জানান, ট্রাক্টরের ভয়ে রাস্তায় ঠিকমত যাতায়াত করা যায়না। রাস্তার পথচারী ছাড়াও ওইসব রাস্তায় চলাচলকারী ছোট যান রিকশা, ভ্যান, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকগুলোকে ট্রাক্টরের জন্য রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
সাপাহার সদর এলাকার আরিফ হোসেন বলেন, অনভিজ্ঞ ও কম বয়সী চালকেরা পাল্লা দিয়ে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে নানা রকম দুর্ঘটনা সম্মুখীন হচ্ছে। এর সাথে আমরা যারা রাস্তা দিয়ে চলাচল করি সবাই তাদের ভয়ে চলাচল করতে গিয়ে আতঙ্কে থাকি।
এ ব্যাপারে সাপাহার সদর এক নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাদেকুল ইসলাম বলেন, এসব ট্রাক্টর গুলো আগে অনেক বেশি ছিল। তবে আগের তুলনায় এখন অনেকটা কম। কয়েক বছর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও স্যারের অভিযানে কমেছিল। তবে এবার ইউএনও স্যারের কাছে আবারো বলা হয়েছে। তিনি অভিযান পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লা আল মামুন জানান, অনুমোদনহীন যান বা রাস্তার ক্ষতি হয় এমন যান রাস্তায় চলাচল করতে দেয়া হবে না। শীঘ্রই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।