সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৫টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত ৫ ব্যবসায়ীর ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন।
গতকাল র্যাব-৬ সিপিসি ১ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের উদ্যোগে র্যাব সদর দপ্তরের এক্সকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট নাদির শাহার নেতৃত্বে সদরের ও কলারোয়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ঝুরিভাজা ও মুড়ি উৎপাদন করার দায়ে ফ্যাক্টরীর মালিক বিজন বিশ্বাস কে ১ লক্ষ টাকা ও বিএসটিআই এর নিয়মানুযায়ী পানি উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের দায়ে জমজম পানির প্লান্টের মালিক তৌফিকুজ্জামান লিটু ৫ হাজার টাকা, শহরেরর কাটিয়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পাউরুটি কেক বিস্কুট উৎপাদন ও বাজারজাত করনের দায়ে মালিক শারমিন আক্তার ৭৫ হাজার টাকা এবং লস্কর পাড়া আমিনুল ইসলাম কে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। ফিড দিয়ে ভেজাল পণ্য দায়ে ফিডের চেয়ারম্যান সদরের লাবসা আলতাফুর রহমানকে এক লক্ষ টাকা সর্বমোট ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার এএসপি মোঃ বজলুর রশিদ, ফিল্ড অফিসার সাফায়েত হোসেন, ইন্সপেক্টর মাইন উদ্দিন, সদর সেনেটারী ইন্সপেক্টর আবুল কাসেম।
অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাবের এক কর্মকর্তা জানান, ভেজাল, অস্বাস্থ্যকর ও বিএসটিআই এর অনুমোদন বিহীন ফ্যাক্টরী ও কারখানাগুলো নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য যে, ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি BSTI এই ৯টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
১) শাপলা পিউর ড্রিংকিং ওয়াটার,
২) অনির্বাণ পানি প্রকল্প,
৩) জমজম বিশুদ্ধ খাবার পানি,
৪) যমুনা ওয়াটার প্লান্ট,
৫) তৃষ্ণা পিউর ড্রিংকিং ওয়াটার,
৬) সাতক্ষীরা পিউর ড্রিংকিং ওয়াটার,
৭) তৌফিক ড্রিংকিং ওয়াটার,
৮) বৃষ্টি পিউর ড্রিংকিং ওয়াটার,
৯) খালিদ পিউর ড্রিংকিং ওয়াটার,
এছাড়াও পরবর্তীতে আল্লারদান ড্রিংকিং ওয়াটার, এডি ড্রিংকিং ওয়াটার সহ অনেক প্রতিষ্ঠান BSTI কর্তৃক মামলার সম্মুখীন হয়। মামলাগুলো নিষ্পত্তি না হওয়ার কারণে এই ধরনের জরিমানা অব্যাহত রয়েছে।
যে বিষয়টি পরদিন সাতক্ষীরা জেলার টক অফ দা টাউন এ পরিণত হয়।
(ছবিতে দৈনিক সূপ্রভাত সাতক্ষীরা ২৫-০১-২০১৯)