সাতক্ষীরা সদরের থানাঘাটায় যত্রতত্র গড়ে উঠছে পোল্ট্রি খামার। লাভজনক ব্যবসা হওয়ার কারণে মানুষ কৃষি কাজ ও অন্যান্য ব্যবসা বাদ দিয়ে এই পোল্ট্রি শিল্পের দিকে ঝুঁকছে।
তবে এই শিল্পের একটা ক্ষতিকর দিক হচ্ছে পোল্ট্রি মুরগির খাবার অর্থাৎ পোল্ট্রি ফিড। পশুর চামড়া ও বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে এই ফিড উৎপাদন করা হয়। যা একটি অতি ক্ষতিকর পদার্থ। এটি একদিনের পোল্ট্রির বাচ্চাকে এক মাসের মধ্যে ১ থেকে দেড় কেজিতে রুপান্তরিত করে।
অনেক বিদেশী সংবাদ মাধ্যম এই পোল্ট্রি মুরগিকে সরাসরি ক্যান্সারের জীবাণু বলে আখ্যায়িত করেছেন। কারণ খামারে যে ফিড খাওয়ানো হয় তাতে ক্রোমিয়াম নামক ক্ষতিকর পদার্থ থাকে যা ক্যান্সারের জীবাণু বহন করে।
একদিকে যেমন এই ফিড খাওয়ানো পোল্ট্রি মুরগির মাংস খাওয়া ক্ষতিকর অন্যদিকে বিষাক্ত ফিডের গন্ধে শরীরে দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন রোগ। থানাঘাটা গ্রামের শাহাদাত চেয়ারম্যান এর বাড়ির পাশে মৈত্রপুর এলাকার আত্তু নামক ব্যবসায়ী কোন নিয়মনীতি না মেনে আবাসিক এলাকায় বিশাল পোল্ট্রি খামার গড়ে তুলেছে। জনপ্রতিনিধিদের আর্থিক সুবিধা প্রদান করার কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
আত্তুর খামারে প্রায় দশ হাজার মুরগির বাচ্চা রয়েছে। যাদের প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ খাবার সরবরাহ করতে হয়। যার দূর্গন্ধে এলাকাবাসী নাজেহাল। মহিলা ও শিশুদের ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। কোন খাবার খেতে গেলে দূর্গন্ধ লাগে সাথে সাথে বমি হয়ে সব খাবার বেরিয়ে যায়।
এ অবস্থা চলতে থাকলে এলাকার অধিকাংশ মানুষ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, যত দ্রুত সম্ভব ঐ পোল্ট্রি খামারসহ আবাসিক এলাকায় নির্মিত সকল পোল্ট্রি খামারগুলোকে আবাসিক এলাকার বাহিরে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।